ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শেষটুকুও কেড়ে নিল কালবৈশাখি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষটুকুও কেড়ে নিল কালবৈশাখি

১৬ বিঘা জমিতে এবছর তরমুজের চাষ করেছিলেন আবু সালেহ। বেশ ভালই ফলন হয়েছিল। তবে সে ফলনে কোনই লাভ হয়নি তার।

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিক্রি করতে না পারায় এমনিতে ক্ষেতেই পচে যায় অনেক তরমুজ। বাকি যেটুকু ছিল তাও কেড়ে নিয়েছে ঝড় কালবৈশাখি। সাথে খুইয়েছেন নিজের আশ্রয়স্থল বসত ঘরটিও।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার কাউখালী গ্রামে আবু সালেহর বাস। বাবা আবদুল কাদের মোল্লা, মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ পাঁচ সদস্য নিয়ে একটি টিনসেডের ঘরে বসবাস করতেন তারা। রোববার (৫ এপ্রিল)  শেষ বিকেলে কালবৈশাখি ঝড়ে বিধ্বস্ত  হয় তাদের বসতঘর।

শুধু আবু সালেহই নয়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কাউখালি গ্রামের দুদা মোল্লা, রেশমা বেগম, ফেরদৌস মিয়া, মঞ্জু আকনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক। এছাড়া কাউখালী নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ঘরও বিধ্বস্ত হয়েছে।লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমির তরমুজ।  

এদিন কালবৈশাখি ঝড়ে আগুনমুখা নদীতে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারও ডুবে যায়। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে সকল মাঝি ও জেলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

সবহারা কৃষক আবু সালেহ বলেন, বিক্রি করতে না পারায় বেশ কিছু তরমুজ আগেই পচে যায়। আর কালবৈশাখি ঝড়ে বসতঘরসহ সবই শেষ হয়ে গেল।

কাউখালি গ্রামের আরেক কৃষক আবুল কালাম জানান, দশ বিঘা জমিতে তরমুজ দিয়েছি। কয়েকদিন আগে বৃষ্টিতে সামন্য ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ে এখন পুরো ক্ষেতই শেষ।

রাঙ্গাবালি উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল সিকদার জানান, কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।

রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান জানান, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে। 

 

ইমরান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়