ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কে শোনে কার কথা!

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কে শোনে কার কথা!

নগরীর বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান

মহানগরী খুলনা লকডাউনের পর এর নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। শহরের ১৬টি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরে প্রবেশ কিংবা কেউ যেন শহরের বাইরে যেতে না পারেন কেএমপির পক্ষ থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।

এদিকে, পুলিশের এই নিষেধাজ্ঞা পালনের ক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে অসংখ্য মানুষকে অবাধে নগরীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মহানগরী থেকে মানুষ ও যানবাহনের আসা-যাওয়া বন্ধ ঘোষণা করে কেএমপি। গত ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খুলনার বিভিন্ন ঘাটে যাত্রী পারাপার লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ পারাপার হতে দেখা যায় মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ রূপসা ঘাট, জেলাখানা ও কালিবাড়ি ঘাটে। এ সময় সাধারণ মানুষ অনেকটা অবাধে যাতায়াত করেছেন। এমনকি নৌকাগুলোতে নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী।

ঘাট দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীরা জানান, কালিবাড়ি ঘাটে আগে ৪০টি নৌকা চলতো। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এখন তিনটি নৌকা চলছে। আগে একটি নৌকায় ১৮ জন যাত্রী নেওয়া হতো। এখন ৪০-৫০ জন নেওয়া হচ্ছে। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ! আগে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হতো ২ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা।

নৌপথে জনসাধারণের অবাধ চলাচল

এ দৃশ্য দেখে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, কে শোনে কার কথা! প্রশাসন সচেতন করলেও অনেকেই মানছেন না। প্রতিদিনের মতোই মানুষ আসা-যাওয়া করছে। নিষেধাজ্ঞার কথা অনেকে জানেও না। আবার জেনেও অনেকে মানে না।

এ বিষয়ে কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, শহরের ১৬টি প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সুতরাং যত্রতত্র পারাপারের বিষয়টি ঠিক নয়।


খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়