ইলিশের দেখা মিলছে না চাঁদপুরে
অমরেশ দত্ত জয় || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুরে মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ছিল।
সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও রয়েছে করোনার ভয়। তাই পুরোদমে মাছ ধরা শুরু হয়নি। এর মধ্যেও পেটের টানে জেলেরা নদীতে যাচ্ছেন। কিন্তু মিলছে না ইলিশের দেখা।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত জানান, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম। তাই মাছের দাম না পাওয়ার শঙ্কায় জেলেরাও নদীতে যেতে হতাশা বোধ করছেন। তাছাড়া এবার প্রচুর জাটকা নিধন হয়েছে। তাই নদীতে বড় ইলিশের দেখা মিলছে না।
ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, চাঁদপুর অঞ্চলে ইলিশ আসার সময় এখনও আছে। এখন ইলিশ কম ধরা পড়লেও কিছুদিন পর এ পরিস্থিতি থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘গত বছর চাঁদপুরে ইলিশ ধরা পড়েছে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। এবার তা ছাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাহাকারের কোনো কারণ নেই।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, জাটকা সংরক্ষণে অন্য বছরের চেয়ে এবার কিছুটা নমনীয় ভূমিকা নিয়েছে জেলা টাস্কফোর্স। কারণ, করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলেদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জানান, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জেলেরা এখন নদীতে নামতে পারবে না। কারণ, চাঁদপুর এখনো লকডাউনে আছে। তাই অন্য জেলা থেকে জেলেরা যেমন মাছ ধরতে নদী পথে চাঁদপুরে আসতে পারবে না। তেমন চাঁদপুরের জেলেরাও অন্য জেলায় যেতে পারবে না।
লকডাউন নিশ্চিত করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ঠিক হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, জাটকা ইলিশ রক্ষায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার (১ মে) মধ্যরাত থেকে জেলেরা মাছ ধরতে শুরু করেছে। তবে ব্যাপক হারে শুরু করতে আরও অপেক্ষা করতে হবে তাদের।
চাঁদপুর/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন