ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কৃষক‌কে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রি-ধান ৮৪

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৬ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কৃষক‌কে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রি-ধান ৮৪

শুকনো মৌসুমে কিশোরগঞ্জের হাওরজুড়ে প্রতিবছরই বোরো ধানের ভালো ফলন হয়। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির ঘটনাও ঘটে। যে কারণে কৃষক চান স্বল্পমেয়াদি ধান। অর্থাৎ যে ধান অল্প সময়ে পাকে এবং দ্রুত ঘরে তোলা যায়। ব্রি-ধান ৮৪ সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের।

প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রনসমৃদ্ধ নতুন জাতের এই ধান সাড়া ফেলেছে কৃষকের মাঝে। আগ্রহ দেখে কৃষি বিভাগও জেলার কৃষকদের মধ্যে নতুন জাতের এই ধানের চাষ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।

হাওরের কৃষক আগাম জাত হিসেবে ব্রি-ধান ২৮ চাষ করে এসেছে। তবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই জাতের চেয়ে আরো আগাম জাতের ব্রি-ধান ৮৪ চাষের পরামর্শ দিয়েছে। এই ধানের ফলনও বেশি এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় হাওরের নিচু জমিতে এই জাতের ধান উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।  

কৃষক সবুজ মিয়া বলেন, এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে ব্রি-ধান ৮৪ রোপণ করেছিলাম। রোগ-বালাই কম থাকায় অল্প খরচ হয়েছে। ধানও ৭/৮ মণ বেশি পেয়েছি। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে এ ধানের কদর অনেক বেড়েছে। 

রহমত আলী যেন নতুন জীবন পেয়েছেন এই ধান চাষ করে। জানালেন, ব্রি-ধান ৮৪ চাষ করে তিনি খুশি। কারণ খুব দ্রুত ধান পেকেছে। ফলনও হয়েছে আশার চেয়ে বেশি। অর্ধেক নিজেদের খাবারের জন্য৮ রেখে বাকি অর্ধেক বিক্রি করবেন বলেও জানান তিনি।

পাকুন্দিয়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক বলেন, উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামে ২০জন কৃষক ১৫বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো ব্রি-ধান ৮৪ চাষ করেছেন। মাত্র ১৩৭ দিনে ধান পেকেছে। তারা ধান ঘরেও তুলেছেন। উৎপাদিত ধানের অর্ধেক রাখা হবে বীজের জন্য। এই বীজ আগামী বোরো মৌসুমে চাহিদা মেটাবে কৃষকের।

জানা যায়, ব্রি-ধান ৮৪ চাষে প্রতি হেক্টর জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মেট্রিক টন ধান পাওয়া যায়। যা অন্য আগাম জাতের ধানের চেয়ে বেশি। নতুন জাতের এই ধান পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিরাপদ কৃষিতেও ভূমিকা রাখবে।

 

রুমন চক্রবর্তী/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়