করোনায় প্রাণ হারালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বিএনপি জোট সরকারের আমলের প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল কবির তালুকদার। রোববার (১০ মে) দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।

আনোয়ারুল কবিরের চাচাত ভাই জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, শনিবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচে আনোয়ারুল কবির মারা যান। তিনি কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।

হাবিবুল্লাহ তালুকদার সবার কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন। আনোয়ারুল কবিরের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার নিজবাড়িতে নেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানান হাবিবুল্লাহ তালুকদার।

তবে আনোয়ারুল কবির তালুকদারের ছোট ভাই জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম জানান, তার বড় ভাই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রয়াত মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা ছিলেন আনোয়ারুল কবির তালুকদার। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মূলবাড়ী গ্রামের আনোয়ারুল কবিরের জন্ম।

আনোয়ারুল কবির তালুকদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। চাকরি জীবনে তিনি বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রথমদিকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

জোট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে ও একইসঙ্গে সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। অবশ্য সরকার তখন দাবি করেছিল যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই বছরই তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগ দেন এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হন। নীতিগত পার্থক্য নিয়ে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি এলডিপি থেকেও পদত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।


সেলিম/বকুল