পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতেই ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন হাজারো যাত্রী।
শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শত ঝক্কি ঝামেলা আর ভোগান্তি নিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে তারা ঢাকা ফিরছেন বলে জানিয়েছেন।
যাত্রীরা বলেন, অফিস থেকে ফোন এসেছে। যথা সময়ে অফিসে না গেলে চাকরি থাকবে না। বেঁচে থাকতে হলে তো কাজ করতে হবে।
আজ সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিতে করে যাত্রীরা নদী পার হন। এরপর মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ছোট গাড়িতে গাদাগাদি করে বসে কর্মস্থলে ফিরছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ১৭ টি ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৫টি ঘাটের মধ্যে ২টি ঘাট দিয়ে ফেরি পাড় হচ্ছে। বাকি ঘাটগুলো পানি বৃদ্ধির ফলে ভেঙে গেছে। সেগুলো স্থানান্তরের কাজ চলছে।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক দূরুত্ব বজায় না মেনে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন।
ফেরি সেক্টরের দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা জানালেন, গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ কর্মস্থলে যাচ্ছেন। সামাজিক দূরুত্ব না মেনেই তারা ফিরছেন।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পাটুরিয়া ঘাটে আসা যাত্রী আব্দুল মোন্নাফ জানান, সংসার চালানোর তাগিদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছি। রোববার সকালে অফিসে পৌঁছাতে হবে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা পোশাক শ্রমিক মামুন মিয়া জানান, ফরিদপুর থেকে অটোরিকশাতে দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। আবার এখন পাটুরিয়া থেকে নবীনগর যেতে মাইক্রোবাসে ৫০০ টাকা করে ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতেই বাড়ি গিয়ে টাকা পয়সা শেষ। এরপর এখন কর্মস্থলে ফিরতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
আব্দুল আলীম/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন