রাইজিংবিডির সংবাদে হুইল চেয়ার পেলেন সেই আহাদ আলী

রোগ আর বয়সের ভারে নুয়ে পড়া সেই আহাদ আলীকে ভিক্ষা করতে গিয়ে আর দুহাতে ভর করে নিদারুণ কষ্ট করতে হবে না। রাইজিংবিডিতে ‘মোক এ্যানা কেউ ঠেলাগাড়ি দেন বাহে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এগিয়ে এলেন বগুড়া শেরপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।

মঙ্গলবার (২ জুন) বেলা ১২টার দিকে আহাদ আলীর বাড়িতে হুইল চেয়ারটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আব্দুর রশিদ দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শেরপুরে কর্মরত আছেন। অন্যের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।

আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আহাদ আলীকে নিয়ে রাইজিংবিডির একটি প্রতিবেদন পড়ি। সেটি পড়ার পর আহাদ আলীর কষ্ট আমাকে পীড়া দেয়। একটি হুইল চেয়ারের জন্য অসহায় মানুষটির চলাফেরায় অনেক কষ্ট হয়। তার কষ্ট লাঘব করতে আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছি মাত্র। সমাজের এমন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধীদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরার জন্য রাইজিংবিডি ও এই প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানাই।’

এদিকে হুইল চেয়ারটি পেয়ে আহাদ আলীর খুশির যেন সীমা নেই। গাড়িটি নিয়ে বারবার এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে যেনো নতুন করে আবার হাঁটতে শিখছেন।

খুশিতে আপ্লুত আহাদ আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মুই (আমি) খুব খুশি বাহে। মুই তোমাদের তংকে (জন্য) দোয়া করুছি। আল্লাহ তোমাদের ভালো করবে।’

চেয়ারটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বৈশাখী টিভির হিলি প্রতিনিধি গোলাম মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভি প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বুলু, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার মিজানুর রহমান মিজান, দৈনিক বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধি লুৎফর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য।

আহাদ আলীর তিন মেয়ে এক ছেলে। স্ত্রী মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না আহাদ আলী। দুই হাতের ওপর ভর করে হিলির অলিগলিতে মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে বেড়ান। দুহাতে ভর দিয়ে চলতে তার খুব কষ্ট হতো।

 

আরও পড়ুন > ‘মোক এ্যানা কেউ ঠেলাগাড়ি দেন বাহে’

 
মোসলেম/এসএম/সনি