ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

টেকনাফ ও চকরিয়া পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ৭ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
টেকনাফ ও চকরিয়া পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর এলাকা, চকরিয়ার পৌর এলাকা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন এবং উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশনের আশপাশের তিনটি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।

এর আগে শনিবার কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে ফের লকডাউন করা হয়েছিল।

রোববার (৭ জুন) বেলা ১১টায় এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক মো. আশরাফুল আফসার। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলার কয়েকটি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে প্রশাসন এসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করেছে।

আশরাফুল আফসার বলেন, ‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় প্রশাসন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষণা দিয়ে শনিবার সকাল থেকে লকডাউন করেছিল। পাশাপাশি এ জেলার আরো কয়েকটি এলাকাকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে চকরিয়া পৌর এলাকা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌর এলাকা এবং উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশন সংলগ্ন তিনটি ওয়ার্ড।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘রোববার সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকাকে নতুন করে রেড জোন ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করেছে প্রশাসন। আগামী ২১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এসব এলাকা লকডাউন থাকবে। লকডাউনের আওতায় থাকা এসব এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি কাঁচা বাজার, মুদির দোকান, মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ থাকবে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন। শুধু ফার্মেসিসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন, করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চলাচল করতে পারবে। রোববার ও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে কাঁচা বাজার ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলো।’

রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে তৎপর থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে রেড জোন ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করার বিষয়ে এসব উপজেলার ইউএনওরা শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছেন।

এদিকে, কক্সবাজার পৌর এলাকায় লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিন রোববার সকাল থেকে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে প্রথম দিনের তুলনায় বেশি সংখ্যক যানবাহন ও মানুষের চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে বেশকিছু দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফুটপাতে বসেছেন হকাররাও। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তেমন তৎপর ছিলেন না পুলিশ ও প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। তবে শহরের কয়েকটি স্থানে নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের কিছু সদস্যকে তৎপর দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশনা মতো রোববার লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা থাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’

 

কক্সবাজার/রুবেল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়