বিএনপি নেতা এম এ হক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সিলেট জেলা এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। অবশ্য, এর আগেই রাত ৮টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের কলুমা গ্রামে বাবা-মার কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ওসমানীর পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৩ জনের পজিটিভ আসে। এদের মাঝে সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা এম এ হকও রয়েছেন।’
নিউমোনিয়া এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ এ রাজনীতিবিদ গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন রাতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।এর আগে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও মৃত্যুর আগে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌনে ৬টার দিকে সিলেটে মানিকপীর (রহ.) সিটি কবরস্থানের পাশের মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহে হযরত শাহজালাল (র.) মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিবুল হক গাছবাড়ি।
এখানে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ নগরবাসী জানাজায় শরীক হন।
পরে অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে বাবা-মার কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
সিলেট/ নোমান/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন