হবিগঞ্জে গরু ক্রেতাদের আগ্রহ কম, হতাশ খামারিরা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে গরু কেনা নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে তেমন আগ্রহ নেই। এ কারণে খামারিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার একদিকে হাওর। অপরপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ঘাসের সুবিধা থাকায় অনেকেই গরু পালন করেন। ফলে এখানে ছোট, বড়, মাঝারি আকারে গরুর খামারও গড়ে উঠেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলাজুড়ে এমন খামারের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। খামারগুলোতে গরু রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। খামার ছাড়াও গ্রাম, পাহাড় ও হাওর এলাকার প্রায় বাড়িতেই গরু পালন করা হচ্ছে। পুরো বছরজুড়ে গরু পালন করা হয়। পরে ঈদে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার আশা করেন এসব গরু পালনকারীরা। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের মাঝে গরু কেনা নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া বাজার বসা নিয়েও সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বাজার বসা নিয়ে জেলা প্রশাসনের অপেক্ষায় রয়েছে জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই জেলার হাওর ও পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার গরু বিক্রি হয়ে থাকে। এ বছর এখন পর্যন্ত হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় গরু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে তেমন কোন তৎপরতাই নেই।
পাহাড়ি এলাকার খামার মালিক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, কাছুম আলী আলাপকালে বলেন, প্রাকৃতিক ঘাসের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা হয় ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এ বছর তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
একই কথা শোনালেন হাওর এলাকার খামারি আব্দুল আলী, ভিংরাজ মিয়া, সুজন মিয়ারাও।
এরমধ্যে আবার দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগের প্রাদুর্ভাব। জেলার কিছু কিছু স্থানে এ রোগে গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ রোগের প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কাজ করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ রোগ প্রতিরোধে গরু পালনকারীদের পাশে আছে।'
মামুন/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন