ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার: শ্রমিকদের পাওনা মেটালেন ইউএনও

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ৬ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার: শ্রমিকদের পাওনা মেটালেন ইউএনও

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু কর্তৃক কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের আত্মসাতের প্রায় ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে ২১ শ্রমিককে বুঝিয়ে দিলেন ইউএনও সুমী আক্তার।

সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমী আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমী আক্তার জানান, সোমবার দুপুরে নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৯-২০ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের মজুরি নিতে শায়েস্তাগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় আসেন প্রায় ৯০ জন শ্রমিক।

এক পর্যায়ে এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা নূরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়া ২১ জনের সই নিয়ে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের কাছে দেন। ক্যাশিয়ার প্রতি শ্রমিককে সাত হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া শুরু করেন।

তবে তার আগে শ্রমিকের টাকা বুঝে নেন জারু মেম্বার। তিনি শ্রমিকদের কাউকে তিন হাজার, কাউকে চার হাজার আবার কাউকে দুই হাজার টাকা করে দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন।

বিষয়টি শ্রমিকরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালকে জানান। একই সাথে এক খবর চলে যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের কাছে।

তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ঘটনাস্থলে পাঠান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরানকে। তিনি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে ইউএনও সুমী আক্তার ঘটনাস্থলে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে আত্মসাৎকৃত টাকা গোপনে ব্যাংকে পাঠান মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়া। এছাড়া থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বেও একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে ভূমিকা পালন করে।

পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরানের উপস্থিতিতে ব্যাংকের এক কর্মচারী উদ্ধার হওয়া টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তারের কাছে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক উদ্ধারকৃত টাকা ইউএনও সুমী আক্তার ২১ শ্রমিককে বুঝিয়ে দেন।

একই সাথে বাকী শ্রমিকদের জনপ্রতি ৭ হাজার ৮০০ টাকা করে প্রদান করা হয় সোনালী ব্যাংক শায়েস্তাগঞ্জ শাখা থেকে।

এ ঘটনায় নারী শ্রমিক আমেনা খাতুন বাদী হয়ে ইউএনও বরাবরে একটি অভিাযোগ দায়ের করেন।

ইউএনও সুমী আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে শ্রমিকদের টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। অভিযুক্ত মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।’

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, শ্রমিকের মজুরি আত্মসাতের ঘটনাটি শোনামাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। উদ্ধার হওয়া টাকা তাৎক্ষণিক বিতরণ করে দিয়েছেন ইউএনও সুমী আক্তার।’

 

 

মামুন চৌধুরী/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়