ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনায় টিকাদান বন্ধ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না.গঞ্জের শিশুরা

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৭ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনায় টিকাদান বন্ধ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না.গঞ্জের শিশুরা

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। এতে মারাত্মক ৯টি রোগে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এদিকে, শিশুর টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি চালু করার। 

করোনা সংক্রমণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জে গত চার মাস টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। তবে এর মধ্যে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও অনেক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তা ভেস্তে যায়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুর হাম রুবেলার টিকার কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯২টি রয়েছে। গত ১৮ মার্চ প্রথম ধাপ ও ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে এই সব শিশুর টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু ১৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে টিকাদান স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর থেকে শিশুর ৯টি মারাত্মক রোগ যক্ষা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস, হিমোফাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, পোলিও ও হাম রুবেলার টিকা বন্ধ রয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী।

নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, করোনার কারণে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। এটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিক সময়ে টিকা দেওয়া ভালো।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কলসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ আমিমুল এহসান বলেন, নির্ধারিত সময়ে শিশুর টিকা দেওয়া নিরাপদ। আর কোনো কারণে গ্যাপ হলে শিশুর ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

একাধিক শিশুর অভিভাবক জানান, তারা নির্ধারিত সময়ে টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন। সঠিক সময়ে টিকাদান নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী জানান, যত দ্রুত সম্ভব টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হবে। সম্ভাব্য সময় কোরবানির ঈদের পর।

তিনি জানান, গত ১০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিঠিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকাদান কর্মসূচি চালুর নির্দেশ দেয়। এরপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গত ১২ মে কর্মসূচি চালু করা হয়। তবে টিকাদনে নিয়োজিত দুইজন সুপারভাইজার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর বাধ্য হয়ে কর্মসূচি বন্ধ করতে হয়।

জেলা সিভিল জানান, দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি চালু করার জন্য জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে বলা হয়েছে। দ্রুত চালু করা হবে। 

 

ঢাকা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়