ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যৌতুকের মামলায় স্বামী জেলে, শ্বশুরের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ

ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১২ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যৌতুকের মামলায় স্বামী জেলে, শ্বশুরের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ

নওগাঁর ধামইরহাটে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগে স্ত্রীর করা মামলায় কারাগারে আছেন শিক্ষক স্বামী আব্দুল মমিন। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগ এনে শ্বশুবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন স্ত্রী শারমিন আক্তার।

শারমিন আক্তার জানান, ২০১৯ সালে পরিবারিকভাবে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের শাহাজাহান আলীর মাস্টার্স পাস শারমিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববতী রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আগ্রাদ্বিগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মমিনের। বিয়ের তিন মাস পর যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল মমিন মোটরসাইকেল চাওয়ার পর না দিতে পারায় স্ত্রী শারমিন আক্তারের শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। গরিব বাবা-মা মেয়ের সংসারের কথা ভেবে দেড় লাখ টাকায় মোটরসাইকেল কিনে দেন। মাস খানেক পর আবারও স্ত্রী শারমিনের নিকট ১০ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী আব্দুল মমিন। যৌতুকের এত টাকা না দিতে পারায় চলতি বছরের ২৯ মার্চ শশুর বাড়ির লোকজন মারপিট করলে পরদিন বাবা শাহাজাহান আলী মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে এ ঘটনাটি কোন প্রকার মীমাংসা না হওয়ায় থানায় মামলা করলে স্কুল শিক্ষক আব্দুল মমিন ও শশুর গ্রেপ্তার হন। স্বামী হাজতে থাকলেও শশুর জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেন শশুর আব্দুস সাত্তার ও ননদ রওশন আরা।

স্ত্রী শারমিন বলেন, ‘আমার বাবা গরিব হিসেবে চার ভরি সোনা ও দেড় লাখ টাকা এনজিও থেকে ঋণ করে দিয়েছে আমার সুখে জন্য। কিন্তু কপাল খারাপের জন্য এমন স্বামী পেয়েছি। কথায় কথায় আমার স্বামী বলে অন্যত্র বিয়ে করলে নাকি ২৫ লাখ টাকা পাবে। আর সে কারণেই আমাকে তাড়াতে দিনের পর দিন এই নির্যাতন।’

এ বিষয়ে আগ্রাদ্বিগুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ জানান, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা হওয়ায় সহকারী শিক্ষক আব্দুল মমিনকে ম্যানেজিং কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

তবে অভিযুক্ত শ্বশুর আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাকে যখন জেল খাটতে হয়েছে, এখন সেই বেটার বউকে নিয়ে সংসার করা যাবে কি না ভাবতে হবে। আর আমরা কোন টাকা-পয়সা চাইনি বা হুমকিও কাউকে দেইনি।’

এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ওসি মো. আবদুল মমিন জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে ধামইরহাট থানায় চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল একটি মামলা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ১ নং আসামি এখনও হাজতে আছে। বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে নতুনভাবে অভিযোগ করে একটি জি.ডি দায়ের করেছে বাদী শারমিন আক্তার। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অইনগত ব্যবস্থা নেব।’


অরিন্দম মাহমুদ/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়