মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব
মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব
মেহেরপুর প্রতিনিধি : শীত এলেই এক সময় পিঠাপুলি তৈরির ধুম লেগে যেত গ্রামের বাড়িতে। অতিথি আপ্যায়ন করা হতো নানা রকমের পিঠাপুলি দিয়ে। কিন্তু গ্রামীণ সেই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে।
তরুণ প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যেতে বসা পিঠার পরিচিত করতে মেহেরপুরের সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসবের।
সোমবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে এ পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম সোলায়মান আলী, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ড. গাজী রহমান।
চন্দ্রপুলি, ভাপা, নকশি, গকুল, চিতই, পাঠিসাপটা, আন্দোসা, বিস্কুট, তালের পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন শিক্ষার্থীরা।
সূর্যমুখী স্টলের ইলমি, মুন্নি, তামান্না ও মৌটুসি জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুদের উৎসবে মেতে ওঠার সময় খুব কমই হয়। কিন্তু পিঠা উৎসব আয়োজনের ফলে আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মধ্যেই আনন্দ তাদের। এতে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে। অন্যদিকে বন্ধুরা এক সঙ্গে পিঠা খেয়ে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে পারছে।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন জানান, গ্রামবাংলার মানুষের চিত্ত বিনোদন ও নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় আয়োজন করা হত বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের। এখন আর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন তেমন চোখে না।
পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করেন তিনি।
মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কাজী আশরাফুল আলম জানান, বাংলার হারনো ঐতিহ্যগুলো আবারও বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ফিরিয়ে আনতে পারেন। হারানো এসব গৌরব ফিরে আনার লক্ষ্যে ও শহরের মানুষের কাছে বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/১৬ জানুয়ারি ২০১৭/মহাসিন আলী/রিশিত
রাইজিংবিডি.কম