ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কটিয়াদীর সেই ওসিকে প্রত্যাহার

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কটিয়াদীর সেই ওসিকে প্রত্যাহার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী মডেল থানায় একই নম্বরে দুটি মামলা রুজু, আদালতে কপি না পাঠিয়ে এফআইআর বই থেকে মামলার কপি ছিঁড়ে ফেলা এবং আসামি গ্রেপ্তার করে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে আলোচিত ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার পুলিশ সুপারের নির্দেশে মো. আহসান উল্লাহকে কটিয়াদী মডেল থানার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহার করাটা সমীচীন বলে মনে করেছেন। এ জন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৩ এপ্রিল হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল উদ্দিনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

কটিয়াদী উপজেলার বীর নোয়াকান্দী গ্রামের এক ব্যক্তি তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে গত ২২ জানুয়ারি একই গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়াসহ (১৯) তিনজনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় মামলা করেন। কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ মামলাটি রেকর্ড করার পর ওই দিনই প্রধান আসামি রবিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর দিন মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পাঠানো ভিকটিমকে মাঝপথ থেকে থানায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। মেয়েটিকে তুলে দেওয়া হয় বাবার হাতে। ওই দিন গভীর রাতে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় মামলার এফআইআরভুক্ত আসামি রবিনকে। রেকর্ডভুক্ত মামলার কপিও আদালতে পাঠানো হয়নি। এফআইআর বই থেকে প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর পাতাটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একই নম্বরে কটিয়াদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।



রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/৭ এপ্রিল ২০১৭/রুমন চক্রবর্তী/বকুল  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়