ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও ১০ বছর কারাভোগ

সেলিম আব্বাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১৬ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও ১০ বছর কারাভোগ

জামালপুর সংবাদদাতা : রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার পরেও ১০ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্কুলশিক্ষক আজমত আলী। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের কপি হাতে পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় তাকে মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের ইজ্জত উল্লাহ সর্দারের ছেলে আজমত আলী। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ভেঙ্গুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি হত্যা মামলায় ১৯৮৯ সালে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আজমত আলীর পরিবার। সেই আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় ১৯৯৬ সালের ২১ আগস্ট জামালপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান আজমত আলী।

২০০৫ সালের ২ মার্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০০৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আজমত আলীকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। হাজির না হলে ২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর গ্রামের বাড়ি থেকে আজমত আলীকে প্রেপ্তার করে নিম্ন আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

২০১৮ সালের অক্টোবরে আজমত আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন তার বাবার মুক্তির জন্য আইনি সহায়তা পেতে সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইডে আবেদন করেন। সে আবেদন পর্যালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যানের নির্দেশে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার নিদের্শ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজমত আলী সাংবাদিকদের বলেন, আইনি জটিলতায় আমি বৃদ্ধ বয়সে কারাগারে ১০ বছর মানবেতর জীবন অতিবাহিত করেছি। কারো জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে।

বিউটি খাতুন বলেন, আমার বাবার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ১০ বছর কি আমরা ফিরে পাব?

জামালপুর কারাগারের সুপার মকলেছুর রহমান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাওয়ামাত্রই তাকে মুক্তি দেয়া হলো। তার মুক্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট।


রাইজিংবিডি/জামালপুর/১৬ জুলাই ২০১৯/সেলিম আব্বাস/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়