ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে টেকেরহাট বাজারের সেতুটি

ঝালকাঠি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে টেকেরহাট বাজারের সেতুটি

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর  সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে ভেঙ্গে পড়া ঝালকাঠি সদর উপজেলার পেনাবালিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট বাজার সংলগ্ন  সেতুটি এক যুগেও সংস্কার করা হয়নি।

পোনাবালিয়া খালের ওপর নির্মিত এই সেতুটি উপজেলার পোনাবালিয়া ও নলছিটির নাচনমহল ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী। সেতুর এক প্রান্তে টেকেরহাট বাজার আর অপরপ্রান্তে কেএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই এই সেতু দিয়ে কয়েক হাজার লোককে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ।

স্থানীয়রা জানান,  সিডরে বিধ্বস্ত সেতুটি এক যুগেও পুর্ননির্মাণ বা সংস্কার হয়নি। ভাঁঙ্গা অংশে স্থানীয়রা বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে যোগাযোগ সচল রেখেছে। সুপারি গাছ ভেঙ্গে গেলে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে লোকজন যাতায়াত করে। সুপারি গাছের ওপর দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

টেকেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব বলেন,‘অনেক জনপ্রতিনিধিই সেতুটি পুর্ননির্মাণের ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কথা রাখে নাই। আমাদের ভোগান্তি রয়েই গেল।’

কেএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র সাকিব হোসেন বলেন,‘সেতু ভাঙ্গা থাকায় আমাদের চলাচলে কষ্ট হয়। অনেকেই এই ভাঙ্গা সেতু থেকে বই-খাতা নিয়ে খালে পড়েছে।’

অভিযোগ রয়েছে, শুধু এই সেতুটিই নয়,জেলায় ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে এলজিইডির নির্মিত লোহার সেতুগুলো সংস্কারের অভাবে একের পর এক ভেঙ্গে যাচ্ছে। জেলার মোট ৪০০ লোহার সেতুর ২১৪ টিই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় কয়েকটি সড়ক সংস্কার করা হলেও সিডরে বিধ্বস্ত  ২০টি সেতু ১২ বছরেও সংস্কার কিংবা পুর্ননির্মাণ করা হয়নি।

ঝালকাঠি এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন জানান, ২১৪টি সেতু প্রতিস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে । বরাদ্দ পেলে শিগগিরই এগুলোর কাজ শুরু করা যাবে।

 

ঝালকাঠি/অলোক সাহা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়