ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিলেটে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে করোনার ঝুঁকি

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সিলেটে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে করোনার ঝুঁকি

করোনা সংক্রমণ রোধে সিলেট বিভাগের চার জেলা ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয় এপ্রিল মাসে। শুরুর দিকে লকডাউন মানলেও ক্রমেই তা অমান্য করার প্রবণতা বেড়েছে জনসাধারণের মাঝে।

এছাড়া সরকারের সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনার পর বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন জনগণ। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ভিড় করছেন বাজারে। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ বাজারগুলোর একই চিত্র। এতে করে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে জনসাধারণের চাপের কারণে সড়কে বেড়েছে যানবাহনও। ফলে ‘লকডাউনের’ মাঝেও নগরের সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব না মেনে অসচেতন চলাফেরার কারণে সিলেটে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ শুক্রবার (১৫ মে) সিলেট জেলায় নতুন করে ছয় স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৮ জনে।

এর মধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলাতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলায় ১১৮ জন, সুনামগঞ্জে ৬৭ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৫৭ জন আক্রান্ত রয়েছেন।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ‘শুক্রবার ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১৩ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া সকলেই সিলেট জেলার বাসিন্দা।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে। এ কারণে সামাজিক দূরত্ব থাকছে না। ফলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকেই করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন অবস্থা চলমান থাকলে সিলেটে করোনা ভয়াবহ আকারে বাড়তে পারে।’

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘জেলার সব উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না এ বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারাও নজর রাখছেন। তবে নিজে সচেতন না হলে জোর করে কাউকে সচেতন করা যায় না। এ কারণে দিনশেষে সচেতনতা নিজের কাছেই।’

গত ৫ এপ্রিল সিলেট বিভাগে প্রথম একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এ পর্যন্ত প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ডা. মঈনসহ ছয় জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৯ জন। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৩৩ জন।

 

সিলেট/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়