ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাঙামাটির কামারদের ‘সেই ব্যস্ততা’ নেই 

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ২৮ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
রাঙামাটির কামারদের ‘সেই ব্যস্ততা’ নেই 

দেশে করোনা মহামারির মধ্যে আসন্ন কোরবানির ঈদেও রাঙামাটির কামারদের দুর্দিন কাটছে না। ঈদের আর মাত্র চার দিন বাকি কিন্তু তাদের তেমন ব্যস্ততা নেই।  

রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার, বনরুপা ও তবলছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ১০টি এবং পুরো জেলায় ৩০টির মতো কামারের দোকান রয়েছে। এতে কাজ করা তিন শতাধিক পরিবারে এখন দুর্দিন।  

রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের কামার দোকানের কর্মচারী শম্ভু কর্মকার জানান, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভার দেখা দেওয়ার পর থেকে মালিক বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটছে তার। 

কামার মনোরঞ্জন কর্মকার বলেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে বিক্রি জমে ওঠে। এ জন্য তারা প্রতিবছর ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। এ সময় তারা যে বেশি আয় করেন, তা দিয়ে সারা বছরের ধারদেনা পরিশোধ করেন। কিন্তু এবার করোনায় সেই আশা শেষ হয়ে গেছে।

কামার রিরঞ্জন কর্মকার জানান, প্রতিবছর এ মৌসুমে তার দোকানে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। এ বছর ২০ হাজার টাকারও হবে কিনা সন্দেহ। 

বিক্রি না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে কামার নন্দন কর্মকার বলেন, করোনার কারণে কাজ-কর্ম হারিয়ে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অনেকে কোরবানিও দিতে পারছেন না। যার কারণে কামারের দোকানেও ভিড় কমে গেছে। 

রাঙামাটি শহরের বাজার সংলগ্ন আনন্দ মেলা মাঠে বসে কোরবানির পশুর বিরাট হাট। কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া, বিলাইছড়ি হতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। সেই কোরবানির পশু জবাই, কাটার জন্য চাপাতি, দা, বটি, ছুরি কেনেন মানুষ। এই বছর পশুর বিক্রি কম বলে কামারদের সেই ব্যস্ততা নেই। 

কাপ্তাইয়ের নতুন বাজারের কামার আরিফ জানান, অন্য বছর কোরবানির ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে তারা রাত-দিন নতুন দা, ছুরি, বটি তৈরি এবং শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন। দোকানে দিনে আয় হতো ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। অথচ এ বছর দিনে ৪/৫ শত টাকাও আয় করতে পারছেন না। 

‘‘লোকজন আগের মতো আর দা, ছুরি, বটি নিতে আসে না। অর্ডারও দেয় না। তাই আর কী করব? কাজ নেই, ব্যস্ততাও নেই। এই অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।’’ 

ঢাকা/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়