ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ক্রেতাশূন্য রাঙামাটির পশুরহাট

বিজয় ধর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২৯ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১৬:২৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
ক্রেতাশূন্য রাঙামাটির পশুরহাট

রাঙামাটির গরুর বাজারে ক্রেতা না থাকায় দিশেহারা গরু ব্যবসায়ী নূর সালাম

ঈদের বাকী মাত্র ২ দিন। ঈদকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে প্রতি বছরই জমজমাট থাকে কোরবানির পশুরহাট। এ বছর সে অবস্থাটি নেই।  পশুর হাটগুলো ক্রেতাশূন্য। 

প্রতিবছর এ সময়ে রাঙামাটি জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু ব্যবসায়ীরা রাঙামাটি শহরে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, পশুর হাট প্রায়ই শূন্য।  হাতে গোনা কিছু গরু নিয়ে বসে আছে গরু ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা নাই বললেই চলে।

রাঙামাটিতে পৌর ট্রাক টার্মিনালে অবস্থিত কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা শূন্য হওয়ার কারণ হিসেবে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই ক্রেতারা গরু কিনতে বাজারে আসছে না।  যারা আসছেন, তারাও গরুর কেনা দামের চেয়েও কম বলছেন। 

লংগদু মাইনী থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আকমল হোসেন বলেন, আমি দুটি গরু হাটে এনেছি। বড় গরুটির দাম দিয়েছি ১লাখ ৭০ হাজার টাকা কিন্তু দাম বলছে ১ লাখ টাকা।

আরেক গরু ব্যবসায়ী মাহমুদুল হক বলেন, গরুর হাটে এবার গরু কেনার মানুষ নাই। দুই তিন ধরে রাঙামাটি পড়ে আছি। গরু বিক্রি করতে না পেরে আর্থিকভাবে সমস্যায় আছি।

অপরদিকে, রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মো. হান্নান বললেন, এবার হাটে পছন্দনীয় তেমন গরু উঠেনি।  গরু ব্যবসায়ীরা গরুর দাম চাইছে বেশি।

লংগদুর মাইনীর গরু ব্যবসায়ী মো. তসলিম হোসেন জানান, তিনি বিক্রির জন্য ৯টি গরু নিয়ে এসেছেন।  বললেন, গত বছর গরুর যে রকম গরুর দাম পেয়েছি, এবার সে অবস্থাটি নেই। এবার বাজারে ক্রেতাও নাই, তেমন দামও নাই। গত বছর যে গরু আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছি, এ বছর একই সাইজের গরুর দাম ক্রেতারা বলছেন ৪০ হাজার টাকা। এ বছর গরু বিক্রিতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বেশি।

আরেক গরু ব্যবসায়ী নূর সালাম বলেন, আমি দুটি গরু এনেছি। লাল রং এর একটির ওজন প্রায় ৫ মণের মতো। কিন্তু করোনার কারণে গরুর দাম নাই।  আমি এখন গরু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। 

পৌর ট্রাক টার্মিনাল কোরবানি পশুর হাটের  ইজারাদার মো. রুহুল আমিন বলেন, বিগত ৫ বছর যাবত এ হাট ইজারা নিয়ে লাভবান হয়েছি।  কিন্তু এ বছর করোনার কারণে এখানকার পরিস্থিতি ভাল না। মানুষের কাছে গরু কেনার মতো টাকা নাই। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে হটে আসছে না।  এ বছর আমরা বাজার ইজারায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

রাঙামাটি/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়