ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ নেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে
মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
আসন্ন ঈদুল আযহাতে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ নেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ী ঘাটের পরিদর্শক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বন্যার পানি আর করোনার প্রভাবে দেশের অন্যতম এই নৌরুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ রয়েছে। দু’ঘাটে আটকে পড়েছে অন্তত শতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন। তবে কাঁচা মালামাল আর পশুবাহী পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদ্মা নদী পার করা হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা নদীতে ৭২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলে ঘূর্ণিমান স্রোত আর অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এই ঘাট দিয়ে ছোট বড় ৮টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পন্যবাহী পরিবহনের চাপ। তবে যাত্রীবাহী পরিবহনের খুব একটা চাপ নেই। ব্যক্তিগত পরিবহনও কিছুটা রয়েছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের চাই নেই বললেই চলে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাটের পরিদর্শক আক্তার হোসেন আরও জানান, বর্তমানে এই নৌরুট দিয়ে ছোট বড় ৮টি ফেরি, ৫৬টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করছে। রাতে সব ধরনের নৌযান বন্ধ থাকে। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে চারটি পন্টুনের মধ্যে দুটি সচল রয়েছে। বাকি দুটো পানি উঠায় বিকল হয়ে আছে। অন্যদিকে লঞ্চ ও স্পীডবোট ঘাটের প্রবেশপথে পানি উঠেছে। তবে তা মেরামত করে কোন রকম চলাচল করছে।
বেলাল/বুলাকী
আরো পড়ুন