পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
মানিকগঞ্জে সিংগাইর বাদে বাকি ৬টি উপজেলায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার লোক। পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তারপরও এসব অঞ্চলের বানভাসিদের দুর্ভোগ কমেনি।
রোববার (২ আগস্ট) সকালে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যমুনা আরিচা পয়েন্টের পানির স্তর পরিমাপকারী মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুলাই মাসের ২৭ তারিখ এ পয়েন্টে সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তারপর থেকে এ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে।
ধলেশ্বরী নদীর জাগীর পয়েন্টের গেজ রিডার মো. বদর উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৯ জুলাই এ পয়েন্টে বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
এদিকে কালীগঙ্গা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টের গেজ রিডার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২৮ জুলাই এ পয়েন্টে সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ২৯ জুলাই থেকে এ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে।
দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চর ভারেঙ্গা এলাকার আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এবারের নদী ভাঙ্গনে সব হারাইছি। কোনো রকম একটু উঁচু জায়গায় ছাপড়া কইরা আছিলাম। তাও বন্যার পানিতে ডুইব্যা গেছে। মাটি কাইট্যা যা আয় রোজগার করতাম এখন তাও বন্ধ। আমাগো জীবনের দুঃখের শেষ নাই।’
সুবুধি এলাকার লতিফ মিয়া বলেন, ‘পানি কমতে শুরু করলেও রাস্তাঘাটের অবস্থা এখনও খুব খারাপ। কোথাও পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায় না। দিন মজুরের কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে আছি।’
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জানান, বন্যাকবলিদের মাঝে ৩৩০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জাহিদুল হক/ইভা
আরো পড়ুন