বুধবার মেয়র নাছিরের শেষ কর্মদিবস

আর মাত্র একদিন।  আগামীকাল বুধবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের শেষ কর্মদিবস।

করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।  তবে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে চট্টগ্রামের আলোচিত এই মেয়রকে।  সরকার মনোনীত প্রশাসকের হাতেই যাচ্ছে চসিকের দায়িত্বভার। তবে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত কে হচ্ছেন চসিকের প্রশাসক তা নির্ধারিত হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আ জ ম নাছির উদ্দিনের পাঁচ বছরের মেয়র জীবনের পূর্ণ মেয়াদই ঘটনাবহুল। 

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চসিকের মেয়র নির্বাচিত হন চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত এই রাজনীতিবিদ।  দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তার ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল।  মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনমাস আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন।  ফলে নতুন মেয়র নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার নিযুক্ত প্রশাসকের হাতেই যাচ্ছে চসিকের দায়িত্বভার।

চট্টগ্রাম নগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন নিয়ে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।  দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরীর সকল ধরনের বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন।  এই বিলবোর্ড ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ছিলেন আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একাংশ।  নগরীকে একটি গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে বিলবোর্ড উচ্ছেদ সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।  এই সাফল্য তিনি ধরে রেখেছেন দায়িত্ব পালনের শেষ দিন পর্যন্ত।  এর পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে বর্জ্য ব্যস্থাপনায় স্মার্ট এবং সৃজনশীল নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার সার্বক্ষনিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন আ জ ম নাছির।  তবে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খুব বেশি কার্যকর কিছু করতে পারেননি।  জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে এখনো মুক্তি পায়নি চট্টগ্রাম নগর। 

গত পাঁচ বছর সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমি সফল নাকি ব্যর্থ তা নগরবাসী বিবেচনা করবেন।  গত পাঁচ বছর আমি নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত ছিলাম।  সকল নাগরিকের সেবা করতে, তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি।  চট্টগ্রাম নগরীকে একটি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।  এখন চট্টগ্রাম শহর একটি নান্দনিক শহর।  একটি পরিচ্ছন্ন শহর।  নগরের সর্বত্র নাগরিকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে।  বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারে। '

মেয়র বলেন, ‘এই শহরের উন্নয়ন এবং কল্যাণে নাগরিকদের সেবায় আমি সব সময়ই নিবেদিত ছিলাম।  মেয়রের দায়িত্বে না থাকলেও আমি সার্বক্ষনিক আমার সর্বস্ব দিয়ে এই শহরের নাগরিকদের পাশে থাকবো। '