ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ধামরাইয়ে পৃথক নৌকাডুবিতে মৃত ৪, নিখোঁজ ১

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০২, ৪ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ধামরাইয়ে পৃথক নৌকাডুবিতে মৃত ৪, নিখোঁজ ১

ঢাকার ধামরাইয়ে পৃথক দুই নৌকাডুবিতে দাদা-নাতনীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন এক স্কুলছাত্রী।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রাম এবং বিকেলে সূয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামের মৃত রকমত আলীর ছেলে হাকিম আলি (৭০) ও তার ছেলের ঘরের নাতনি মুন্নী (১১) এবং সূয়াপুর ইউনিয়নে রৌহারটেক এলাকার সাবেক মেম্বার হিরা ফকিরের দুই ভাগ্নি কলেজছাত্রী আফিয়া আক্তার (২০) ও শারমিন আক্তার (২১)। 

নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী পন্থি আক্তার (১৫)।

নিখোঁজ ওই ছাত্রীকে খুঁজতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ধামরাই ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের সদস্যরা।

ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বদির উদ্দিন জানান, অসুস্থ পুত্রবধূকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনার সময় বাইল্লা এলাকায় এলে তাদেরকে বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। এতে হাকিম আলী ও মুন্নির মৃত্যু হয়। এসময় তার পুত্রবধূকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে নেত্রকোনা থেকে ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক গ্রামের হিরা ফকিরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তার বোন-ভাগ্নি। মঙ্গলবার দুপুরে বোন-ভাগ্নিসহ চারজন নৌকায় করে বেড়াতে যায়। এ সময় বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে নৌকা ডুবে যায়। এতে হিরা ফকিরের ভাগ্নি কলেজছাত্রী আফিয়া আক্তার (২০) ও শারমিন আক্তার (২১) পানিতে ডুবে মারা যান। 

তবে সাঁতার জানায় কাজলি বেগম (৪০) প্রাণে বেঁচে গেলেও দশম শ্রেণির ছাত্রী পন্থি আক্তার (১৫) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

এ ঘটনায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ধামরাই ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে ঘটনার ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। 

ধামরাই ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়্যার হাউজ কর্মকর্তা মো. আলম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা নিহত চারজনের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এছাড়া নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারের জন্য আমাদের ডুবুরি দলের কাজ করছে।’

এদিকে এবারের বন্যায় ধামরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এসব নৌকায় চলতে গিয়ে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। গেল তিনদিন আগেও নৌকাডুবিতে উপজেলায় এক শিশু ও দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পানিতে ডুবে সাত জনের মৃত্যু হলো।

সাব্বির/সনি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়