ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খুলনার ভৈরব নদের ঘাট রক্ষা প্রাচীরে ভাঙন, পণ‌্য উঠানামা ব‌্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ৮ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
খুলনার ভৈরব নদের ঘাট রক্ষা প্রাচীরে ভাঙন, পণ‌্য উঠানামা ব‌্যাহত

ভৈরব নদের স্কিড ঘাট কি পয়েন্ট (৫ নম্বর ঘাট) এলাকার প্রতিরক্ষা প্রাচীরে ভাঙন

ভৈরব নদের তীরবর্তী খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট (স্কিড ঘাট কি পয়েন্ট) এলাকার প্রতিরক্ষা প্রাচীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদী পরবর্তী ৫০ ফুট এলাকা ডেবে গেছে। প্রতিদিন দুই বেলা জোয়ারের পানিতে ভাঙন আশপাশ এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে আপাতত ঘাটের দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দ্রুত ভাঙন রোধ করা সম্ভব না হলে পুরো ঘাটই অচল হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ঘাটের অন্য অংশের প্রতিরক্ষা প্রাচীর ভেঙে প্রায় ৩০ ফুট এলাকা ধসে যায়।

ঘাট শ্রমিকরা জানান, ষাটের দশকে নদী বন্দর এলাকায় এই স্কিড কি পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়। নদীর তীরে শক্ত ঢালাই ও ভেতরে লোহার পাত দিয়ে ওই সময় গার্ডার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে গার্ডারের পাশে কনক্রিটের ঢালাই দিয়ে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে ঘাট এলাকায় প্রথম ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রথম পর্যায়ে মূল গার্ডারটি বেঁকে যায়। পরে কনক্রিটের দেওয়াল ভেঙে মাটিও দেবে যেতে থাকে। প্রায় এক বছর পরে এর মেরামত কাজ শুরু হয়। ততোদিন ঘাটের প্রায় ১০০ ফুট এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। ওই অংশ মেরামত কাজ শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে।

ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটের ভেতরে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। মূল নিরাপত্তা গার্ডারটি বেঁকে নদীর ভেতরে চলে গেছে। এছাড়া কনক্রিটের নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে গেছে। দুই বেলা জোয়ারের পানিতে ওই অংশ ডুবে থাকায় প্রতিদিনই জায়গাটি একটু একটু করে দেবে যাচ্ছে। এতে ঘাট ব্যবহারকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

৫ নম্বর ঘাট হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক শিকদার বলেন, ‘ঘাটের গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভাঙন দেখা দেওয়ায় মালামাল ওঠানামা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্রুত এই ভাঙন মেরামত করা না হলে ভাদ্র-আশ্বিনের পানির চাপে পুরো ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্কিড ঘাট কি পয়েন্টের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী মিনহাজ-উজ জামান সজল বলেন, ষাটের দশকে তৈরি স্কিড ঘাট এ অঞ্চলের পণ্য আনা-নেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু। প্রথমবার ঘাটে ভাঙন ধরার পর স্থায়ীভাবে ঘাট মেরামতের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তারা শুধু ভাঙা অংশটি মেরামত করেন। পূণরায় এক সপ্তাহ আগে নতুন করে ভাঙন দেখা দিলেও বিআইডব্লিউটিএর কেউ খোঁজ নেননি।

দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করে তিনি অভিযোগ করেন, এ অঞ্চলের ঘাটগুলো থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও সংস্কারের বিষয়ে সংস্থাটি বরাবরই উদাসীন।

বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে, খোঁজ নিয়ে দেখছেন। 

নূরুজ্জামান/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়