ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির ৯১টি কম্পিউটার চুরি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ১০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির ৯১টি কম্পিউটার চুরি

ছুটির মধ্যে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চুরি হয়ে গেছে ৯১টি কম্পিউটার।

একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ওই ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (চলিত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান ও রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরে মোট ৪ বার চুরির ঘটনা ঘটলো।  এতে অন্তত ২ শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়েছে।  ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭ টি ও ২০১৭ সালের আগেও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে রোববার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হবার বিষয়টি ধরা পড়ে।  গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তারা জানিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত পত্রে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্তের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।

আইন বিভাগের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়কে সভাপতি ও  রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।  কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন মো. আব্দুর রহিম খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. নাছিরুল ইসলাম ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম।

এ পত্রে আরো বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটি থাকাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডগণ কেউ কেউ অনুমোদন ছাড়াই ছুটিতে ছিলেন।  কেন তারা এমনটি করলেন এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করবেন।  কমিটিকে সুষ্ঠু তদন্ত শেষে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে।  আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যেএই চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ জুলাই থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন, তাই নিরাপত্তা জনিত কিছুটা সমস্যা ছিল।  

বাদল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়