ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চাঁদপুরে রেলওয়ের ইজারা দেওয়া জায়গা দখলের অভিযোগ

চাঁদপুর সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১৭ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
চাঁদপুরে রেলওয়ের ইজারা দেওয়া জায়গা দখলের অভিযোগ

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে পুলিশ

চাঁদপুর শহরের জামতলায় মো. আ. মান্নান বেপারীর (৫৯) নামে ইজারা নেওয়া জায়গা স্থানীয় সোহাগ বেপারী দখল করেছে বলে রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

১৭ই আগষ্ট সোমবার ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আ. মান্নান বেপারী (৫৯) ২০১৯ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে চাঁদপুর কোর্ট ও চাঁদপুর স্টেশনের মধ্যে রেল লাইনের উত্তর পাশে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সংলগ্ন রেলভূমির প্রায় ০.০৯ একর পাড়বিহীন জলাশয় চট্টগ্রামের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে ইজারা নেন। দীর্ঘ দেড় বৎসর যাবৎ মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি। অথচ স্থানীয় জামতলার আলী বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী ওই জায়গার সঙ্গে পুকুরের ওপরে মাচা বানিয়ে দোকান স্থাপন করে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, সোহাগের অবৈধভাবে স্থাপিত ওই দোকানের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা পুকুরের মধ্যে ফেলে পুকুরের পানি নষ্ট করে মাছ চাষের অনুপযোগী করে তুলেছে। শুধু তাই নয়, সোহাগ পুকুরের বেড়া দেওয়ার জাল ছিড়ে ফেলেছে।

এ ব্যপারে অভিযোগ দায়েরকারী জায়গার মালিক মো. আ. মান্নান বেপারী আরও জানান, ‘আমি সোহাগকে পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলতে বারণ করলে সে আমাকে এটি সরকারি পুকুর বলে জানায়। এটি আমার নামে লিজ করা সম্পত্তি মানতে সে অস্বীকৃতি জানায়। উল্টো সে আমার পুকুরের মাছ মেরে ফেলার সঙ্গে আমাকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাই আমি আমার লিজকৃত জায়গা বুজে পেতে রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি সরওয়ারের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি জানান, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাই করেও দেখলাম, ওই জায়গার লিজকৃত মালিক মৃত ফজলুর রহমান বেপারীর ছেলে মো. আ. মান্নান বেপারী। এ বিষয়ে অবৈধ দখলদার সোহাগের পরিবারকে লিজকৃত জায়গার ওপর নির্মিত দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যপারে অভিযুক্ত সোহাগের পক্ষে তার মা জাহানারা বেগম জানান,‘আমার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আমরা কোন অশান্তি চাই না। দরকার হলে দোকান সরিয়ে নিবো।’ 

এ ব্যপারে রেলওয়ের কানোনগো মো. কাউসার হামিদকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ‘রেলওয়ের কারো লিজকৃত জায়গায় অন্য কেউ অবৈধ উপায়ে স্থাপনা উঠানোর সুযোগ নেই। আমরা দ্রুতই যার নামে লিজকৃত জায়গা তার ওখান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে রেলওয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’

অমরেশ/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়