ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে বাঘ আতঙ্ক

পঞ্চগড় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৬, ২০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
পঞ্চগড়ে বাঘ আতঙ্ক

গত একমাস ধরে বাঘ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পঞ্চগড়ের চার গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। ইতোমধ‌্যে বাঘের আক্রমণে মারা গেছে কৃষকের গরু। লোকালয় থেকে ধরে নিয়ে কয়েকটি ছাগলও খেয়েছে বাঘ। গ্রামগুলোর আবাদি জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ মিলছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরিজোত, সাহেবীজোত ও তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের উষাপাড়া ও বাদিয়াগাছ গ্রামের ঘটনা এটি।

খবর পেয়ে বাঘ ধরতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অধীনে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষিত কর্মীদের একটি দল এ এলাকায় এসেছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দিনব্যাপী স্থানীয় এক চা বাগানের চার পাশে বাঘ দেখার আশায় জেলার বিভিন্ন এলাকার উৎসুক মানুষকে ভিড় করতে দেখা গেছে। এর আগে গত বুধবার রাতে সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে চারটি গ্রামে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়।

দেবনগড় ইউনিয়নের উষাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘বুধবার বিকেলে আমি আমার গরুটিকে নিয়ে চা বাগানের পাশেই ঘাস খাওয়াচ্ছিলাম। এ সময় একটি বাঘ আমার গরুর গলা কামড়ে ধরে। এতে গরুটি মারা যায়। আমি নিজেই চা বাগানে চিতা বাঘ দেখেছি। আমার দিকেও তেড়ে আসতে চেষ্টা করেছিল, তবে চা বাগানের ডালের কারণে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’

সাহেবীজোত গ্রামের হাজিব উদ্দিন বলেন, ‘গত এক মাস ধরে আমরা এলাকাজুড়ে বাঘের আনাগোনা দেখেছি। বাঘ আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারি না।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।

আরিফ হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন থেকে এই এলাকায় বাঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলে শুনছি। প্রত্যক্ষদর্শী, মৃত গরুর মালিক এবং বাঘের পায়ের ছাপ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে পুরনো চা বাগানটিতে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। জেলা প্রশাসক বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।’ 

সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুনেছি গতকাল এখানে একটি গরু হত্যা করেছে বাঘ। তাৎক্ষণিক জেলা বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য। এখানে একটি চিতাবাঘ তার দুটি বাচ্চাসহ ভারত থেকে আসতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। প্রধান বন সংরক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভেটেরেনারি সার্জনসহ একটি দল এখানে আজ থেকেই বাঘ ধরতে কাজ করবে। ঢাকা থেকে তিন সদস্যের একটি দল বাঘ ধরতে এখানে কাজ করবে।’

আবু নাঈম/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়