ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘২০ বছরে ভোলায় এমন পানি দেখিনি’ 

আবদুল মালেক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২২ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘২০ বছরে ভোলায় এমন পানি দেখিনি’ 

‘গত ২০ বছরেও ভোলায় এমন পানি দেখিনি। আমাদের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। হাসান নগর ৪নং ওয়ার্ড এলাকা সম্পূর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং টবগী ৪নং ওয়ার্ডে আংশিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এভাবেই বলছিলেন দ্বীপ জেলা ভোলার মেঘনা পাড়ের বাসিন্দা মো. সুমন মিয়া, যারা সাগরের জোয়ারের পানির সঙ্গে বসবাস করেন সবসময়।

ভোলায় মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে মানুষের বাড়ি-ঘর, পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে।

ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার কিছু এলাকার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২/৩ দিন পানিবন্দি হয়ে চরম কষ্টে দিন যাবন করছে কয়েক হাজার মানুষ। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ এবং কৃষকদের ফসলি জমি ক্ষতি সাধন হয়েছে।

ভোলা সদর পূর্ব ইলিশা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মেঘনার জোয়ারের অস্বাভাবিক পানিতে প্রায় ১২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তারা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছেন।

মেঘনার পাড়ের মো. সুমন জানান, ‘গত ২০ বছরেও জোয়ারে এমন পানি দেখিনি। আমাদের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। হাসান নগর ৪নং ওয়ার্ড এলাকা সম্পূর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং টবগী ৪নং ওয়ার্ডে আংশিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুকুর ও মাছের ঘেরের কয়েক লাখ টাকার মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। হাকিমুদ্দিন সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার রুমগুলো পানিতে ডুবে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

হাসাননগর এর মুসলিম মাল, ফিরোজ মেম্বার ও সামছুদ্দিন মিয়ার মাছের ঘের পানিতে তুলিয়ে মাছগুলো ভেসে গিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানান। এমন অনেক পুকুর ও মাছের ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।’

মেঘনার পাড়ের হাকিমুদ্দিন বাজার পানিতে তলিয়ে গুদামসহ ৫০টি দোকানের মালামাল পানিতে তলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়েছেন ব‌্যবসায়ীরা।

হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট ইজারাদার মো. উজ্জল হাওলাদার জানান, ‘মেঘনার অতি জোয়ারে পানির চাপে পল্টুনে লঞ্চযাত্রীদের বসার কিছু স্থাপনা ভেঙ্গে গেছে। বেড়িবাঁধ এলাকার বাহিরে হাকিমুদ্দিন বাজারে যাওয়ার পাকা সড়কটি নাজুক হয়ে পড়ছে। দ্রুত এগুলো মেরামত করতে না পারলে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বেন।’ 

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. হুমায়ুন জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবং মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ভোলা/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়