ঝালকাঠিতে ১২০০ পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে, ক্ষতি ১০ কোটি টাকা
অলোক সাহা || রাইজিংবিডি.কম
দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে অমাবশ্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও ভারী বৃষ্টিতে দুই শতাধিক মাছের ঘের ও এক হাজারেরও বেশি পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে অধিকাংশ ঘের ও পুকুরের মাছ বের হয়ে গেছে। এতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঘের ও পুকুরের মালিকরা। তবে জেলা মৎস্য বিভাগ প্রাথমিক পর্যায়ে একশছের ঘের ও ছয়শত পুকুরের মাছের ক্ষতির কথা বলছে।
সরেজমিনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বালকদিয়া গ্রামে দেখা গেছে, এখানকার সকল ঘের পানিতে তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে।
বালকদিয়া গ্রামের মাছের ঘের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে মাছের ঘের করে আসছি। এবছর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ও নিজের অর্থে ৭ একর জমিতে মাছের ঘের করেছি। আমার ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লাখ মাছ ছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত মাছ চাষে আমার ৪০ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। ঘের তলিয়ে না গেলে এখান থেকে আমি প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু পানি বাড়ার কারণে আমার ঘেরের সব মাছ বের হয়ে গেছে। মাছের ক্ষতির পাশাপাশি আমরা ও অন্যান্য শাখ সবজির ক্ষতি হয়েছে।’
শুধু বালকদিয়া গ্রামের নয় জেলার সকল মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ঝালকাঠির নদী-নালা, খাল-বিল ও খোলা জলাশয়ে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, ‘গত কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। তবে জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে মাছ চাষিদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল যে, এবছর বন্যা বেশি হবে। তাই অনেকে জাল টাঙ্গিয়ে ঘের ও পুকুরের মাছ রক্ষা করতে পেরেছে। আমরা বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক ভাবে একশত মাছের ঘের ও ছয়শত পুকুরে এক কোটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে কোন অর্থ বরাদ্দ হলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তা দেওয়া হবে।’
ঝালকাঠি/সাজেদ
আরো পড়ুন