ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

যশোরে ৩ কিশোর হত্যা: সম্পৃক্ত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০  
যশোরে ৩ কিশোর হত্যা: সম্পৃক্ত ৮

যশোর শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যা ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় শ‌্যোন অ‌্যারেস্টে থাকা আট কিশোরকে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের অভ্যন্তরে চার দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। 

জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে আট কিশোরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত ১৫ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ির পরিদর্শক রকিবুজ্জামান জানান, শ‌্যোন অ‌্যারেস্টে থাকা আট কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বন্দি আট কিশোরকে চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দেন। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ভেতর আলাদা কক্ষে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২৯ আগস্ট) থেকে কেন্দ্রের ভেতর গিয়ে মামলার আসামি আট বন্দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

কখনো একজনকে একাকি আবার কয়েকজনকে এক সঙ্গে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান পরিদর্শক রকিবুজ্জামান। 

তবে আট বন্দির কাছ থেকে কী তথ্য পাওয়া গেছে তা প্রকাশ করতে অপরাগতা জানান তিনি।

এদিকে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের ওই ঘটনায় আহত ১৫ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইনের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত কোনো আদেশ দেয়নি বলে জানান পরিদর্শক রকিবুজ্জামান। 

আহত ১৫ কিশোর হলো- জাবেদ, লিমন, আরমান, হৃদয়, সাকিব, ইশান, পাভেল, সাইম, ছাব্বির, সফিকুল, রাকিব, মাহিম, রূপক, হৃদয়-২, ও জুয়েল।

গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের নির্যাতনে তিন কিশোর নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। এই ঘটনার পর শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। 

তারা বলেন, ‘কেন্দ্রের শিশু কিশোরদের দুটি গ্রুপের মধ্যে মারামারিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পরে আহত কিশোরদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে স্পষ্ট হতে থাকে যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দয় মারধরের কারণেই তিন কিশোর নিহত ও ১৫ কিশোর আহত হয়।’

পরের দিন ১৪ আগস্ট নিহত কিশোর রাব্বির পিতা রোকা মিয়া বাদি হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের অজ্ঞাত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করে সরকার। 

এরমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় তিন সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করেছে তারাও যশোরে কাজ শুরু করেছেন।

রিটন/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়