আস্থা বেড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি (ভিডিও)
ছোট-খাটো সমস্যা হলে লোকজন এখন ছুটে যায় কমিউনিটি ক্লিনিকে
কারও মাথা ব্যাথা, হাতে ব্যাথা, পায়ে ব্যাথা। কারও সর্দি, কাশি কিংবা জ্বর। ছোট-খাটো সমস্যা হলে হবিগঞ্জের লোকজন এখন ছুটে যায় কমিউনিটি ক্লিনিকে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালু থাকে এ ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি আস্থা বেড়েছে স্থানীয়দের। দিন দিন আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ও বাহুবল উপজেলা ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
জ্বর, সর্দি, পেট ব্যাথা, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের জন্য ২৯ প্রকারের সরকারি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এখান থেকে প্রায় ৬ হাজার লোকের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সুমাইয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতির মধ্যেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সেবা দিচ্ছি।’
বাহুবল উপজেলার ৪ নম্বর সদর ইউনিয়নের বালিচাপড়া কমিউনিটি চিকিৎসা নিতে আসা আয়েশা বেগম বলেন, ‘এখানে আসলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে। আবার টাকা ছাড়া ওষুধও দেয়।’
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। সেবার মান ঠিক রাখতে নিয়মিত ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করা হয়।’
বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাবুল কুমার দাশ বলেন, ‘এ উপজেলায় ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আরেকটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেকটিতে কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারের নেতৃত্বে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জল জানান, জেলায় ২১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। করোনা পরিস্থিতিতেও এসব ক্লিনিক চালু রেখে গ্রামের মানুষকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৯ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। বেশি জটিল হলে তারা রোগি হাসপাতালে পাঠায়। সপ্তাহে ৬ দিনই এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুধু শুক্রবার বন্ধ থাকে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার ছাড়াও সপ্তাহে ৩ দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও ৩ দিন একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের দেখভালোর জন্য কমপক্ষে ১৩ এবং সর্বোচ্চ ২১ সদস্যের ম্যানেজমেন্ট কমিটি থাকে। এর সভাপতি থাকেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার।’
হবিগঞ্জ/ইভা
আরো পড়ুন