ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কয়রার শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি: বেতন পাননি প্রাথমিকের ৭৩৪ শিক্ষক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:২৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
কয়রার শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি: বেতন পাননি প্রাথমিকের ৭৩৪ শিক্ষক 

আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না খুলনার কয়রা উপজেলায় ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৭৩৪ জন শিক্ষক। মূলত হঠাৎ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বদলিতে নতুন কর্মকর্তার যোগদান বিলম্ব হওয়ায় এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষকরা চরম হতাশায় রয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত ১০ আগস্ট এক পত্রে কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশারকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বদলি করা হয়। একই সঙ্গে নাজিরপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান জুয়েলকে কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশ অনুযায়ী শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার ১২ আগস্ট কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অব্যাহতি নেন। কিন্তু ১৬ আগস্টের মধ্যে সিকদার আতিকুর রহমান জুয়েলের বর্তমান কর্মস্থল কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করার আদেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি অদ্যাবধি যোগদান করেননি। ফলে নিয়মিত কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ১৫ দিনের বেশি সময় কয়রায় শিক্ষা অফিসার না থাকার কারণে কর্মরত ৭৩৪ জন শিক্ষকের আগস্ট মাসের বেতন বিল করা সম্ভব হয়নি। ফলে উপজেলার শিক্ষকরা বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক অনটনে দিন পার করছেন।

ঘুগরাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহীন জানান, ‘বেতন পাওয়ার আশায় কয়েকদিন যাবত শিক্ষা অফিসে এসে অফিসার না থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। শিক্ষা অফিসারের এ বদলিজনিত সমস্যা যদি আগে থেকে অফিস কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতেন, তবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে বিলম্ব হতে হতো না।’

২নং কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, ‘গত ৪ মাস যাবত আম্ফানের জলোচ্ছাসে লোনা পানিতে এলাকা প্লাবিত রয়েছে। ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে।’

যোগদান না করার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ‘আমার কয়রায় বদলির আদেশটি বাতিল হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমি পরবর্তী কর্মস্থলে যোগদান করব। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নলেজে রয়েছে।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম সিরাজুদ্দোহা বলেন, ‘কয়রাতে হাবিবুর রহমান নামের নতুন একজন শিক্ষা অফিসার দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী দু’এক দিনের মধ্যে যোগদান করবেন বলে ধারণা করছি। তিনি যোগদান করলে শিক্ষকদের বেতনভাতা প্রদানের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’ 

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়