বেনাপোলে ৬ প্রতারক গ্রেপ্তার

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতারণাপূর্বক টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ছয় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেনাপোলের সাদীপুর গ্রামের মোস্তফা মোড়লের ছেলে ইয়াছিন, মোশাররফ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন, আজিজ সরদারের ছেলে পাভেল সরদার, দুর্গাপুর গ্রামের আকমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত চাঁদ আলীর ছেলে লুলু সরদার, আব্বাসের ছেলে মোসলেম হোসেন রকি। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা হয়রানি করছে ও টাকা-মালামাল হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল লতিফ, তার বোন নুরজাহান, খালাতো বোন নাজমা খাতুন ও আলিমুন ভারতে যাওয়ার জন‌্য বেনাপোল চেক পোস্টে পৌঁছান। সেখানে এক প্রতারক সহজে ভারতে পার করে দেবে এমন কথা বলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সংলগ্ন যশোর মানিচেঞ্জার অফিসের পিছনে একটি দোকান ঘরের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পার করার কথা বলে তাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তৎক্ষণাৎ ১৪/১৫ জনের একটি দল সেখানে গিয়ে তাদেরকে হত‌্যার হুমকি দিয়ে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। সেসময় ইয়াছিন আলী নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন আলী অন্যান্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে। এ ঘটনায় আব্দুল লতিফ এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের ছয় জনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা জানান, তারা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সরলতা ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে মানিচেঞ্জার, পণ্য আদান-প্রদান, ভ্রমণ ট্যাক্সসহ অন্যান্য ট্যাক্স এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পারাপারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলো।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।