ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুদকের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা রাজা কারাগারে

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২২:৫৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
দুদকের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা রাজা কারাগারে

রাশেদুল ইসলাম রাজা

বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাজা বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

স্পেশাল জজ আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা বগুড়ার সান্তাহারে বাফার গুদামের হ্যান্ডেলিং এজেন্ট ছিলেন।

ওই মামলার অপর দুই আসামি গুদামের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবির উদ্দিন বর্তমানে পলাতক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মশিউর রহমান জামিনে আছেন।

মামলার বাদী দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের শুরুতে বিদেশ থেকে আমদানি করা সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সান্তাহারের বাফার গুদামে সরবরাহ করার জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্ত সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে মাত্র ৪ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করেন। বাকি ৩ হাজার ৮৮৯ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন সার গুদামে মজুদ না করেই কালো বাজারে বিক্রি করা হয়।

ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবির উদ্দিন খান, মাসুদুর রহমান নামের অপর এক কর্মকর্তা এবং পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর আগে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তবে মাসুদুর রহমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় হ্যান্ডেলিং এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম রাজার নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জেন্টু/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়