ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রাণ ফিরে পেলো ঐতিহ্যবাহী স্কুলের মাঠ ও পুকুর

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৫:০৮, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রাণ ফিরে পেলো ঐতিহ্যবাহী স্কুলের মাঠ ও পুকুর

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিকের পদক্ষেপে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ফিরে পেলো কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। 

দু’দিন আগেও যে মাঠের কোনায় কোনায় ছিল ময়লার ভাগাড়।  মাঠ ও পুকুর পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল।  এর পাশ দিয়ে যেতে হলে নাকে রুমাল গুজতে হতো।  এখন তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। 

ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির ময়লা পুকুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও শিবলী সাদিকের।  তিনি পুকুরসহ পরিত্যক্ত মাঠটিরও পরিস্কারের দায়িত্ব নেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার ময়লা মাঠের কোনায় যেখানে ফেলা হতো, সেখানে এখন ডাস্টবিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  মাঠের ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করে চারপাশে লাগানো হয়েছে মেহগনি গাছ।  আর তাতে দেওয়া হয়েছে খাঁচা।  তাছাড়া মাঠ ময়লা হওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে দেওয়া হয়েছে সীমানা প্রাচীর।  মাঠের আগাছা পরিস্কারে ছিটানো হয়েছে ওষুধ।  অন্যদিকে পুকুরে পড়ে থাকা সকল ময়লা পরিস্কার করে পুকুরের ছিটানো হয়েছে চুন।  পুকুর রক্ষায় পুকুরের পশ্চিম পাশে দেয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠ ও পুকুরের চারপাশে লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা।  বর্তমানে পরিত্যক্ত মাঠে এখন শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করছে।  আর যে পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মানুষের নাকে রুমাল গুজতে হতো, সেই পুকুরে এখন গোসল ও অজু করা যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পুকুর ও মাঠটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল।  কিন্তু ইউএনওর উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির মাঠ ও পুকুর আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। 

ইউএনও শিবলী সাদিক বলেন, আসলে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার সুযোগ অনেক।  তবে সেই কাজে যদি স্থানীয়দের সহযোগীতা থাকে তাহলে তা সহজেই করা সম্ভব।  আমার এই কাজটিতে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমেরিকা প্রবাসী নাইম আহমেদসহ স্থানীয় অনেকে সহযোগীতা করেছেন।  সরাসরি মাঠ পরিস্কারে হাত লাগিয়ে কাজ করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।  এজন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, কোন কাজই আমি সঙ্গে নিয়ে যাব না।  তবে ভাল কাজ করে যেতে পারলে স্থানীয় মানুষজনের হৃদয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকা সম্ভব।  বিগত দিনের মত স্থানীয়দের সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে আরো কিছু কাজ করে যেতে চাই। 

রফিক সরকার/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়