সাভারে প্রবাসীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ, আহত ৪
সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাভারে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উটেছে। হামলায় ওই প্রবাসী, তার স্ত্রী, ছোট ভাই এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীসহ চারজন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রবাসী আহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাভারে বনগাঁও ইউনিয়নের নিকরাইল গ্রামে প্রবাসীর নিজ বাড়ির পাশে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরে শনিবার (১২ সেপ্টম্বর) বিকেলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুলফিকার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘আমি ২৫ বছর ধরে সৌদিতে থেকে নিজের জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করেছি। কিন্তু প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন (৫২) ও মোহাম্মদ আলী (৪৬) দীর্ঘদিন ধরে আমার বাড়িটি দখলের পায়তারা করে আসছে। এরই জের ধরে তারা কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি থেকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে তাদের নিয়ে অন্য যায়গায় বসবাস করছি।
‘পরে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হলে অভিযুক্তরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে গ্রামের মাতবররা চলে গেলে ইকবাল হোসেন, তার ছেলে সাকিবুল ইসলাম, শ্যালক রাসেল ও মোহাম্মদ আলীসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে বাঁচাতে স্ত্রী রুনা আহমেদ, ছোট ভাই আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে আমাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।”
প্রবাসীর স্ত্রী আহত রুনা আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘ইকবাল হোসেনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম গত কয়েক বছর ধরে পুলিশে চাকরি করে। সে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসপিবিএন সদস্য হিসেবে কাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেই আমারদেরকে মারধর এবং বাড়িঘরে ভাংচুর চালায়। এছাড়া পুলিশে চাকরি করে বলে আমারদেরকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়।’
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার জমিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছি। সেই জমির অংশ দাবি করে আহাম্মদ আলী গ্রাম্য শালিস ডাকে এবং মাদবরদেরক টাকা খাইয়ে আমার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায়। কিন্তু আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তারাই আমাকে মারধর করে উল্টো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লিখিত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার ভবানীপুর ফাঁড়ির ইনচার্য (এসআই) জুলফিকার রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, যে অভিযোগ করেছে তার দাবি যৌক্তিক। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সাব্বির/সনি
আরো পড়ুন