ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বন্যায় সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৬৭ কোটি টাকা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  
সিরাজগঞ্জে বন্যায় সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৬৭ কোটি টাকা

চলতি মৌসুমী বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৭ উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ কোটি টাকা। 

এই হিসাব সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও জেলা শিক্ষা অফিসের।

বন্যায় সিরাজগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৫টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও ৬০টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, চলতি বন্যায় জেলায় মোট ২৭৪ কিলোমিটারের মতো গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ক্ষতি হয়েছে।  এখনো সব জায়গা থেকে পানি না নামায় সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।  তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।  বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে এখন পর্যন্ত সড়কগুলোতে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে মেরামত বাবদ অন্তত ৬১ কোটি টাকা লাগবে।  মেরামতের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।  বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল্লাহ জানান, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় জেলার ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা।  ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।  বরাদ্দ পেলে ও বন্যার পানি সম্পুর্ণ নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করা হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, জুনের শেষের দিকে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে বাড়তে থাকে।  ২৮ জুন উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে।  এরপর ৪ জুলাই থেকে আবার কমতে শুরু করে এবং ৬ জুলাই বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়।  ৯ জুলাইয়ের পর ফের দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ১৩ জুলাই যমুনার পানি দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে।  টানা ২৫ দিন পর ৭ আগস্ট যমুনার পানি উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।  ১১ আগস্ট পর্যন্ত কমতে থাকলেও ১২ আগস্ট থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে।  ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসে।  তবে ২১ আগস্ট থেকে আবারও পানি কমতে শুরু করে।  টানা ১২ দিন ধরে কমার পর ২ সেপ্টেম্বর আবারও বাড়তে থাকে।  তবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।  বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভবনা নেই।  বৃষ্টিপাত কমলেই দ্রুত গতিতে পানি কমবে।

অদিত্য রাসেল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়