ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভালো নেই প্রতিমাশিল্পীরা 

শাহীন আনোয়ার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:৪৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
ভালো নেই প্রতিমাশিল্পীরা 

করোনার কারণে ব্যস্ততা কম প্রতিমাশিল্পীদের

আজ থে‌কেই সনাতন ধর্মাবলম্বী‌দের সব‌চে‌য়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা শুরু। তবে এ বছর পূজার জৌলুশ ঘিরে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতি বছর এই সময় প্রতিমাশিল্পীদের ব্যস্ততা থাকলেও এ বছর ভিন্ন চিত্র। মহামারি করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে পূজার বড় আয়োজনের দিকে যাচ্ছেন না পাড়া-মহল্লার আয়োজকরা। আর এতে বিপদে পড়েছেন প্রতিমা নির্মাণের কারিগরেরা।

মাগুরার প্রতিমাশিল্পী মানিক বৈদ্য বলেন, ‘সারা বছর আমরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করি। দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করে ভালো আয় হয়। তা দিয়ে বছরজুড়ে চলে সংসার। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনার কারণে সবকিছুতেই এসেছে পরিবর্তন।’

শুধু তিনি নন মাগুরায় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার লোকের হাতে কাজ নেই। পূজা সামনে অথচ প্রতিমার কাজ না থাকায় কষ্টে আছেন তারা।

মাগুরার ছানাবাবুর বটতলা, বাটিকাডাঙ্গার দুর্গা মন্দির, নিতাই গৌর সেবাশ্রম ও নতুন বাজার কর্মকার পাড়া ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরিতে নেই কোনো ব্যস্ততা।

মানিক বৈদ্য বলেন, ‘এ বছর করোনার কারণে অনেকে ছোট পরিসরে পূজা করছেন। তেমন ভালো দাম পাচ্ছি না। সারা বছরের আয় হয় এই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে। এ বছর তেমন অর্ডার হচ্ছে না। দুই একটা অর্ডার হলেও তেমন মজুরি পাচ্ছি না। রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া প্রতিমাশিল্পীরা বিপদে আছেন।’

প্রতিমাশিল্পী কুমার পাল বলেন,‘প্রতিবছর এ সময় দুর্গা প্রতিমার অর্ডার একটু বেশি থাকে। এ বছর আমি তিনিটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছি তাও আবার ছোট আকৃতির। প্রতিবছর এই সময় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হয়। এ বছর করোনার কারণে ১ লাখ টাকাও আয় হবে না।’

মোহম্মদপুর সদরের বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাস জানান, খড় ও সুতলির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে প্রতিমা তৈরির খরচ। গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ হচ্ছে।

মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ডু বলেন, ‘করোনার কারণে আগের মতো বড় পরিসরে পূজা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পূজায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।’

জেলা প্রলিশ সুপার খান মহম্মদ রেজওয়ান বলেন, ‘পূজায় নিরপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পাশাপাশি থাকবেন আনছার ও গ্রাম পুলিশের সেচ্ছাসেবক সদস্যরা। আশা করি, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।’

মাগুরা/ইভা  

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়