ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শফীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ০২:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শফীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা আল্লামা আহমদ শফী। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা নোমান ফয়জী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাওলানা নোমান ফয়জী জানান, এখন থেকে মাদ্রাসা পরিচালনা করবে শূরা কমিটি। আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানি ও মাদ্রাসার শিক্ষক নুর ইসলামকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। শুরা কমিটি পরবর্তী সভায় নতুন মুহতামিম নির্ধারণ করবে।

মাদ্রাসার আন্দোলনরত ছাত্র এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানির আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিয়ে ছাত্রদের  মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিলো। আনাস মাদানি বাবার পাশে থেকে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করে পুরো মাদ্রাসা নিজের আয়ত্বে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিশেষ করে আল্লামা শফীর পর আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরীর অবস্থান থাকলেও তাকে কোনঠাসা করে সব ক্ষমতা নিজের করায়ত্বে আনতে আনাস দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুনগরীর ঘনিষ্ঠ ছাত্র-শিক্ষকদের বিতাড়িত করা হয়। এতে মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

সর্বশেষ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিতব্য হাইয়াতুল উলিয়ার অধীনে কওমি মাদ্রাসাগুলোর মাস্টার্স সমমানের পরীক্ষা নিয়ে মাদ্রাসায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব আনাস মাদানি। এই পরীক্ষায় বাবু নগরীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ছাত্রদের পরিচয়পত্র না দেওয়া, ছাত্রদের ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন-হয়রানির অভিযোগ ওঠে। 

এসব অভিযোগে বুধবার বাদ জোহর থেকে শত শত ছাত্র মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করে। রাতেই মাদ্রাসার সুরা কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে আনাস মাদানিকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করেন। তবে ছাত্রদের আরও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরুদ্ধ মাদ্রাসায় অবরুদ্ধ থাকেন আল্লামা আহমদ শফীসহ সব শিক্ষক। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসে মাদ্রাসার মজলিশে শূরা কমিটি। ওই বৈঠকে মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন শাহ আহমদ শফী। একই সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষক আল্লামা নুরুল ইসলামকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম/রেজাউল/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়