ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শুভ্র কাশফুল ছুঁয়েছে মন

রুদ্র রুহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১১:৪৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
শুভ্র কাশফুল ছুঁয়েছে মন

সুবাহ তাবাসসুম ঐশী, শিক্ষার্থী বরগুনা সরকারি কলেজ

প্রকৃতিতে শরৎ এর আগমন জানান দেয় কাশফুল।  এ ঋতুতেই ফোটে পালকের মতো নরম এবং ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল।

বর্ষা ঋতুকে বিদায় জানিয়ে নীল আকাশে সাদা তুলোর মত মেঘের সাথে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়।  বরগুনার গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা এলাকায় তেমনই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কাশফুল। 

বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কের বরগুনা প্রান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে একটু সামনে এই লাকুরতলা।  স্থানীয়রা লাকুরতলার ওই এলাকাটিকে মহাসড়ক নামকরণ করেছে।  পেট্রোল পাম্পের ঠিক বিপরীতে সড়কের পশ্চিম অংশের বালু ভরাট এক খন্ড জমিকে প্রকৃতি সাঁজিয়েছে কাশফুলে।  শরৎ এলেই সাদা ফুলে গোটা এলাকা ছেঁয়ে যায়।  ভিড় জমে যায় কাশবনে কিশোর-তরুণসহ সব বয়সী মানুষদের।

চারদিকে শুভ্র কাশফুল, আর লেকের ধারে শরীর মন জুড়িয়ে দেওয়া বাতাস।  কেউ বসে গল্প করছেন।  বিকেল নামতেই পুরো এলাকা যেন রূপ নেয় গ্রামীণ মেলায়।  কেউ বা ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন।  কেউ নগ্ন পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।  কেউ আপনমনে গুনগুন করে গাইছেন।  পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসছেন এই কাশবনে। 

কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে।  সুবাহ তাবাসসুম ঐশী বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন কাশবনে, বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন অনেকদিন পর। 

ঐশী বলেন, কলেজ বন্ধ- সময় কাটেনা আর ঘরে।  বন্ধুদের সাথে দেখা হয়না, বড্ড একঘেঁয়ে জীবন।  এই স্থানে প্রতিবছর এসময়ে আসা হয়। এ বছর এ সময়টাতে বাসা থেকে বের হইনি।  তবুও মন টানে সফেদ কাশফুলের দোল খাওয়া এইখানে। তাই চলে এসেছি সবাই।  কাশবনে নিজের অনেকগুলো ছবি তুলেছি।

গৃহবধূরাও এসেছেন শিশুদের নিয়ে এই কাশবনে।  আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এসেছেন এখানে।  কবিতার ছন্দে ছন্দে তিনি বলেন, ‘দুই ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা’- শৈশব কৈশোরের নদী তীর ধরে কাশবনের দোল খাওয়া দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। এখন আর তেমনটা নেই।  এখানে কাঁশবনে একটু নিরানন্দ সময়টাকে উপভোগ করতে এসেছিলাম।

বরগুনা/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়