ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাইজিংবিডির খবরে সেই সরিনার সহায়তায় এগিয়ে এলেন আব্বাস

মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২২:১৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
রাইজিংবিডির খবরে সেই সরিনার সহায়তায় এগিয়ে এলেন আব্বাস

জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডিতে হবিগঞ্জের এক নারীর লাকড়ি বেচে জীবিকা নির্বাহের সংবাদ প্রকাশের একদিন পর তার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন একজন সমাজসেবক। 

রাইজিংবিডিতে ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের ‘লাকড়ি বেচেই জীবন চলে সরিনার’ শিরোনামে একটি মানবিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি পড়েন এ নিউজপোর্টালের নিয়মিত পাঠক হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের বিরামচর গ্রামের সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এই নিউজের প্রতিবেদক মামুন চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে জানান, সরিনা খাতুনকে কিছু সহায়তা করবেন। 

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি তেল, লবণ, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, চা পাতা, মুড়ি কেনেন। এসব নিয়ে আব্বাস উদ্দিন তালুকদার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের গুদাম মাঠে পরিত্যক্ত রেলের জমির ঝুপড়ি ঘরে যান। নিজ হাতে এসব খাদ্যসামগ্রীর সঙ্গে কিছু নগদ অর্থও সরিনা খাতুনের হাতে তুলে দেন তিনি। এসব পেয়ে সরিনা খাতুন আনন্দ প্রকাশ করেন। কারণ এর আগে এভাবে তাকে কেউ ঘরে নিয়ে এসে সহায়তা করেনি।

এসব বিতরণকালে রাইজিংবিডির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. মামুন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 

সরিনা খাতুন বলেন, ‘যাই হোক রাইজিংবিডিতে আমার কথা লেখা হওয়ায় ধন্য হয়েছি। দেশে-বিদেশের লোকজন আমার কষ্টের কথা জেনেছে। এ লেখা পড়ে আমাকে সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার খাদ্যসামগ্রী ও নগদ দিলেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এটা আমার অনেক বড় পাওয়া। আমাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় রাইজিংবিডিকে ও প্রতিবেদক মামুন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই।’

সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার বলেন, রাইজিংবিডি পাঠকের কাছে ভালো ভালো সংবাদ তুলে ধরছে। সরিনারকে নিয়ে লেখা একটি মানবিক প্রতিবেদন পড়েছি। তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেই। পরে এ নারীর ঝুপড়ি ঘরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ সহায়তা করেছি। সরিনার পাশে আমি আছি। সরিনা খাতুন নয় শুধু, অসহায় মানুষের পাশে আমি নিঃস্বার্থভাবে আছি।’

প্রসঙ্গত, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের গুদাম মাঠে পরিত্যক্ত রেলের জমির ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন সরিনা খাতুন (৪৫) । জীবিকা নির্বাহে তিনি বিক্রি করেন লাকড়ি (জ্বালানি কাঠ) । নিজ ঝুপড়ি ঘরের সামনে বসে সামান্য লাভে এ লাকড়ি বিক্রি করে দৈনিক এক থেকে দুইশ টাকা আয় হয়। এ টাকায় তার বাজার হচ্ছে। লাকড়ি বিক্রি না হলে বাজার হয় না, নিজের ঘরে চুলায় জ্বলে না আগুন। থাকতে হয় অনাহারে। তাকে নিয়ে রাইজিংবিডি একটি মানবিক সংবাদ প্রকাশ করে।

হবিগঞ্জ/মামুন/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়