বৃষ্টিতে ডুবে গেছে লালমনিরহাটের মাঠ ঘাট
ফারুক আলম || রাইজিংবিডি.কম
লালমনিরহাটে গত কয়েকদিন ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে। মাঝখানে ২ দিনের বিরতির পর শনিবার রাতের ভারি বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে মাঠ ঘাট। বৃষ্টি রোববারও অব্যাহত ছিল। এতে বেশির ভাগ এলাকাই জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট শহরসহ আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। লালমনিরহাট শহরেও পানির সাথে ভেসে আসা পুকুরের মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। হঠাৎ সৃষ্ট এই বন্যা পরিস্থিতিতে লোকালয়ের সব ধরণের খামারির চোখে দেখা গেছে কালো মেঘ, ভেঙেছে স্বপ্ন। লালমনিরহাটজুড়েই এখন থই থই করছে পানি।
হঠাৎ করে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, অপরিকল্পিত মাছ চাষই এর অন্যতম কারণ। এসব মাছ চাষিরা বিল-নদীর সংযোগ খাল বন্ধ করে মাছ চাষ করছে। বন্ধ করে রেখেছে ছোট ছোট কালভার্ট। ফলে পানি নেমে যাওয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।
এই অবস্থার কারণে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী এবং সারপুকুর ইউনিয়নে ৭ থেকে ৮টি কালভার্টের মুখ খুলে দেয়া হয়। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে এসব কালভার্টের মুখ খুলে দেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, পানি প্রবাহের পথ যেখানেই বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে খুলে দেয়া হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬শ ৯৬ পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪শ ৬৪ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে তিস্তায় গত কয়েকদিন থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে।
লালমনিরহাট/টিপু
আরো পড়ুন