ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে যমুনার তীব্র ভাঙন

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২৩:৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
টাঙ্গাইলে যমুনার তীব্র ভাঙন

টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। এতে বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে সদর উপজেলার চরপৌলী, কাকুয়া, হুগড়া, গয়রাগাছা, চকগোপাল, কাতুলি ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে যমুনার ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ শতাধিক ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিতরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

কাকুয়া ইউনিয়নের নুরু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবার ৮০ বিঘা জমি ছিল। দীর্ঘদিন ভাঙনের ফলে বেশিরভাগ জমি নদীর গর্ভে চলে গেছে। ছোট বয়স থেকে শুনে এসেছি, যমুনা নদীতে বাঁধ হবে। কিন্তু আমাদের প্রায় সব শেষ।’

ভাঙনের শিকার আবু তালেব বলেন, ‘ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে, ঘর সরিয়ে নেওয়ার সময়ও পাচ্ছি না।’

কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সম্প্রতি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই গ্রামবাসী আবার যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। গত সাত দিনে বহু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভেঙে গেছে শতাব্দীর প্রাচীনতম চরপৌলী এলাকার একটি মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কবরস্থান। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

মাহমুদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাজেদুর রহমান তালুকদার বলেন, ভাঙনকবলিত মানুষ ঘর, বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখনো পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ হলে যমুনার পাড়ের মানুষকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা যাবে।  

কাওছার/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়