ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফাঁসির দণ্ড নিয়ে কারাগারে মিন্নি

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:২৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
ফাঁসির দণ্ড নিয়ে কারাগারে মিন্নি

অবশেষে ফাঁসির দণ্ড নিয়ে আদালত থেকে কারাগারে গেলেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। 

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফাঁসির আদেশের পরই মিন্নিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। একই সঙ্গে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর বেলা তিনটার দিকে আদালত থেকে বের করে আলাদা গাড়িতে মিন্নিকে বরগুনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। 
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ‌্য দিবালকে কুপিয়ে যখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং গ্রুপ বন্ড ০০৭ এর সদস্যরা। 

রিফাতকে কুপিয়ে যখমের মুঠোফোনে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে নিহতের স্ত্রী মিন্নি তার স্বামী রিফাতকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এমনটা দেখা যায়। ওইদিন বিকেলে শেরেবাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত শরীফ। 

ঘটনার পরের দিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী রাখা হয়। 

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯) ।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। মামলার রায়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। 

মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
সকালে বাবার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে আদালতে এসেছিলেন মিন্নি। রায়ের পর বাবা বাড়ি ফিরলেন একা, মিন্নি বাড়ি ফেরার বদলে প্রিজনভ‌্যানে করে গেলেন কারগারে।

রুদ্র রুহান/সাজেদ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়