চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ: এসআই ক্লোজড

মাদারীপুর শহরের ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা পুলিশের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকায় মিমাংসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) জহুরুল ইসলাম সালিশ মিমাংসায় উপস্থিত থাকায় তাকে শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ক্লোজড করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালে তদন্ত চলাকালীন দুই চিকিৎসকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মাদারীপুরের ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তারকে (২২) ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এ সময় চিকিৎকের অবহেলায় ওই প্রসূতি মারা যান। এই ঘটনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর থানার এসআই  জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, শেয়ার মালিক জাকির দর্জি, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রভাবশালী একটি মহল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন।

এসআই  জহুরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই ঘটনা দুই লাখ টাকায় মিমাংসা হওয়ায় শনিবার তাকে ক্লোজড করা হয়।

অন্যদিকে, ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলাকে তদন্তকালীন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘মিমাংসার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে স্পষ্টভাবে জানি না। এই মিমাংসার সময় পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার বিষয়টিও জেনেছি। পরে পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছেন। এর বাইরে তেমন কিছু জানি না।’

অন্যদিকে, ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমরা ওই নিহত পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করেছি। এখন আমাদের বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে চিকিৎসায় ভুল ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখার জন্যে ওই সময়ে কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিমাংসার বিষয়টি আমি জানি না। তবে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের বিষয় অনলাইনে জমা দেওয়া আছে। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো।’