ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘মেঘনার পাড়ে থাহি, কেউ মোগো খবর নেয় না’

আবদুল মালেক, ভোলা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৪ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১১:৫৭, ১৪ অক্টোবর ২০২০
‘মেঘনার পাড়ে থাহি, কেউ মোগো খবর নেয় না’

‘বেটা (স্বামী)  মরছে ২০ বছর। হেই থেকে খেয়ে না খেয়ে থাহি। কেউ মোগো খবর নেয় না। প্রতিবন্ধী মাইয়াকে নিয়ে মেঘনার পাড়ে ভাঙাচুরা ঘরে থাহি। আকাশে ডাক দিলে ডরাই। একটু বৃষ্টি হলে ঘর দিয়া পানি পইরা কাপড় ভিজজা যায়। কেউ একখান ঘর দিলে মন ভইরা দোয়া কততাম।’

কথাগুলো বলেছেন ময়ফুল বেগম। তার বয়স এখন ৭০ বছর। থাকেন দ্বীপ জেলা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর রাজ কৃষ্ণ সেন এলাকায়। 

আর কত বয়স হলে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাবেন—এমন আক্ষেপ করে আবুল কালামের (মৃত) স্ত্রী ময়ফুল জানান, দুই মেয়ে, দুই ছেলে। এক মেয়ে অনেক আগে ঢাকায় চলে গেছে। তার কোনো খোঁজ নেই। আরেক মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। তাকে নিয়ে মেঘনার পাড় বেড়িবাঁধে খুপরি ঘরে থাকেন। বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। ছোট ছেলে অন্যের নৌকায় কাজ করে সামান্য কিছু উপার্জন করে জীবনযাপন করে। তাও আবার নদীতে মাছ না পেলে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। 

তিনি আরও জানান, বসতঘর নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। যেকোনো সময় মেঘনা নদীতে ভেসে যেতে পারে। মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে করতে পারছেন না তিনি। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমার কাছে কেউ কোনো দিন আসেনি। আমি চেষ্টা করবো তাকে সহায়তা করতে। 

ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন পিন্টু বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমি খোঁজখবর নিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করে দেব।

তজুমদ্দিন উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী নুরুজ্জামান বলেন, অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ভাতার ব্যবস্থা করবো।

ভোলা/মালেক/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়