গোয়ালঘর থেকে প্রেমিক যুগলের মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক গোয়ালঘর থেকে প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় উদ্ধার করা মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের রাজাফৈর গ্রামের এক গোয়ালঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ দুটি উদ্ধার করে কালিহাতী থানা পুলিশ।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের মৃত বাছেদ মিয়ার ছেলে মো. শাজাহান (৪২) ও দেলোয়ার হোসেন মেয়ে এবং একই এলাকার দানেজের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩৯)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি তদন্ত রাহেদুল ইসলাম জানান, আলেয়া তার স্বামীর সঙ্গে ওই গ্রামে বসবাস করতেন।  আলেয়ার বাড়িতে শাজাহান প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ের তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় মাস আগে আলেয়া ও শাহাজাহন এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। পরবর্তীতে গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) শাজাহান ও আলেয়া গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তাদের বিষয়টি বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের আমজাদ ও কাশেমসহ এলাকার গণ‌্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে সমাধান হওয়ার কথা ছিল। তবে রাতে ওই গ্রামের কয়েক যুবক তাদের গালিগালাজ ও চর থাপ্পর মারে।

এরপর শুক্রবার সকালে আলেয়ার আগের স্বামী দানেজের গোয়াল ঘর থেকে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ সুরুতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আলেয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের আত্মহত্যা করার কথা নয়। সে আত্মহত্যা করলে আগেই করতো। বাড়িতে এসে করতো না। তদন্ত সাপেক্ষে আমি সঠিক বিচার দাবি করছি।’

স্থানীয় ইউনিয়ন ইউপি সদস্য হামিদ মিয়া বলেন, ‘এটা আত্মহত্যা নয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে।’

বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছোহরাব আলী বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক। তাদের পা মাটিতে ঠেকানো ছিলো। মাটিতে রক্তও পড়েছিলো। এ ঘটনায় পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত দাবি করছি।’

ওসি রাহেদুল ইসলাম বলেন, সকালে লাশ উদ্ধার করে বেলা ১২টায় ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে তারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে মাটিতে একটু রক্ত পড়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে।’