ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে এলপি গ্যাসের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার, দুর্ঘটনার শঙ্কা

নুরুচ্ছাফা মানিক, খাগড়াছড়ি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১২:২৬, ২১ অক্টোবর ২০২০
খাগড়াছড়িতে এলপি গ্যাসের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার, দুর্ঘটনার শঙ্কা

রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি গ‌্যাস খাগড়াছড়িতে পরিবহনে ব‌্যবহার হচ্ছে। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে এ কার্যক্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের রসুলপুর, মাটিরাঙ্গা-তবলছড়ি সড়কের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে দেশীয় প্রযুক্তির চাপ যন্ত্র ব্যবহার করে গ্যাস বের করে আনা হচ্ছে। মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত সিএনজি এসব স্টেশন থেকে এলপিজি জ্বালানি নিচ্ছে। দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবহনে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। এতে করে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মাটিরাঙ্গার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল ও এরশাদ আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে মাটিরাঙ্গা বাজারে গ্যাস পাম্প মেশিন বসায় ব্যবসায়ীরা। জানাজানি হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে সরিয়ে গ্রামের মধ্যে নিয়ে আসে। চারপাশে বসতবাড়ি, মসজিদ ও খামার রয়েছে। যেকোনো সময় হতে পারে দুর্ঘটনা।

তবলছড়ি বাজারের মো. জাফর নামে আরেকজন বলেন, রাতে বেলায় অনেক সিএনজি তবলছড়ি বাজারের দুটি স্থান থেকে গ্যাস নিয়ে আসে।  দেখার কেউ নেই।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামছুল হক বলেন, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারপরও কীভাবে মাটিরাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব কারবার চলে তা জানি না।

স্থানীয় একটি গ্যাস পাম্পের মালিক ও তবলছড়ি ইউনিয়নের সদস্য আসাদুজ্জামান বকুল বলেন, এলপিজি পাম্প স্থাপনের জন্য লাইসেন্স করতে আবেদন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। স্থানীয় চালক ও মালিকদের অনুরোধে পাম্প করার জন্য কেনা যন্ত্রপাতি দিয়ে সেবা দিচ্ছি।

মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেল বা গ্যাস পাম্প করতে ফায়ার সেফটির যে ছাড়পত্র নিতে হয়, তা কেউ নেয়নি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অনুমতি ছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার বিপণন নিষিদ্ধ, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ যদি আইন না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুড়িয়া এলাকার একটি গুদামে এলপিজি সিলিন্ডার থেকে অন্যটিতে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরণে ৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

খাগড়াছড়ি/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়