ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বন্দরের বহিঃনোঙরে অর্ধশত জাহাজ, লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫২, ২১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৩:৩৩, ২১ অক্টোবর ২০২০
বন্দরের বহিঃনোঙরে অর্ধশত জাহাজ, লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা

নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ধরনের জাহাজ থেকে পণ্য খালাস দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

এর ফলে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন পণ্য আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। বহিঃনোঙরে অলস বসে থাকা জাহাজগুলোকে প্রতিদিন অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে কমপক্ষে ১৫ হাজার ডলার (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কোনো সুরাহা না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা-নামা স্বাভাবিক থাকলেও বহিঃনোঙরে অচলাবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম থেকে লাইটার জাহাজে দেশের বিভিন্নস্থানে পণ্য পরিবহনও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুখ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নৌযান শ্রমিকদের কারণে লাইটার জাহাজ চলাচল ও পণ্য খালাস না করায় বন্দরের বহিঃনোঙরে থাকা মাদার ভ্যাসেল থেকে খালাস বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী জানান, ধর্মঘটের ফলে সমুদ্রে সিমেন্ট ক্লিংকার, গম, পাথর, সারসহ বিবিধ পণ্য নিয়ে মাদার ভ্যাসেলসহ বিভিন্ন ধরনের অর্ধশতাধিক জাহাজ অলস বসে আছে। এসব জাহাজ অতিরিক্ত একদিন অবস্থান করার জন্য ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

বাংলাদেশ লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন জানান, ধর্মঘটের কারণে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। ফলে কোনো ধরনের লাইটার জাহাজ চলাচল করছে না। শ্রমিকরা একান্ত বাধ্য হয়েই এই কঠোর আন্দোলনে গেছেন। সরকারি দাবি মেনে নিলেই শ্রমিকরা কাজে ফিরে যাবে।

চলমান সঙ্কট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জরুরি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান চেম্বার সভাপতি।

মাহবুবুর রহমান আরও জানান,  দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরনের ধর্মঘট অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে করে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে এবং সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। ফলে বাজার অস্থিতিশীল হবে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যাবে যা সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক উভয় পরিসরে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়